খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের ’২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস-২০২৪ পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো-‘ফার্মাসিস্ট: মিটিং গ্লোবাল হেল্থ নিডস’। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সংশ্লিট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. সাইফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ফার্মেসী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফার্মাসিস্টের কাজ হলো প্রেসক্রিপশন পুনঃপরীক্ষণ, ওষুধ তৈরি, রোগীকে বিতরণ এবং ওষুধের ব্যবহারবিধি ও সংরক্ষণ নিয়ে রোগীকে পরামর্শ প্রদান। চিকিৎসাসেবায় ধনী-গরীব বৈষম্য দূর করে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য বাস্তবায়ন করা দরকার। বক্তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী ডিসিপ্লিনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পেশাগত জীবনে কর্মদক্ষতা, ধৈর্য্য ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিজ্ঞা কার্কি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ তাসনিম আবির ও হৈমন্তী বর্মন পুজা। অনুষ্ঠানে ফার্মা অলিম্পিয়াড ও বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। পরে তাঁর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে হাদী চত্বর হয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের অধিকাংশ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. সাইফুজ্জামানসহ ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তাদের হাতে স্বাস্থ্য সেবায় ফার্মাসিস্টদের অবদান সম্বলিত রঙ-বেরঙের বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন শোভা পায়।