ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ বলেছেন,ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ঠেকাতে জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার ক্ষমা নেই। তাদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সাথে সাথে ২০১৩ সালের ৫ মে রাতে ফ্ল্যাশ আউটের নামে যে গণহত্যা চালিয়েছিল সেই গণহত্যাসহ বিগত ১৬ বছরের আইন বহির্ভূত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘মব’ তৈরি করে মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিলেও এর বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন সরকারের জোরালো ভূমিকা চোখে পড়ছে না। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের অবসানের পর দেশবাসী স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে উৎখাত করে শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষিপ্রতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের বিষয়ে জনগণকে এখনো স্পষ্ট করেনি। বরং ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, গাইবান্ধা ও রাজশাহীতে পিটিয়ে ছাত্র-যুবকদের হত্যা করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় মোহাম্মদ নগর বিশ্বরোড মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর লবণচরা থানা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বন্ধ মিল কলকারখানা চালু, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সুস্থতা ও বীর শহীদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও গণ-সমাবেশ লবণচরা থানা সভাপতি মাওলানা নাসিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি আব্দুস সালাম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ মমিন ইসলাম নাসিব এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
গণ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা সমন্বয়কারী রাফসান জানি, মাওলানা আবু সাঈদ, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, গাজী ফেরদৌস সুমন, মো: আবুল কালাম আজাদ, মোঃ মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, মোঃ মোস্তফা আল গালিব, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ সজিব, আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ডালিম হাওলাদার, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলাহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আলহাজ্ব সেলিম হোসেন বাবুল, আব্দুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, হাফেজ আব্দুল আহাদ, মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ শরিফুল ইসলাম, মাওলানা ফজলুল কাদের, মাওলানা নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ কবির হোসেন, হাফেজ জোবায়ের, মুফতি এরশাদ উল্লাহ, আব্দুল মান্নান, মোঃ কামাল হোসেন, হাফেজ মনসুর আলী, মোঃ সাইদুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, ডাক্তার আনসার আলী, মোহাম্মদ বেলাল বেপারী, মোহাম্মদ হায়দার আলী, মোঃ শাহ আলম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, হাফেজ আহাদ আলী, মোঃ আনিসুর শেখ, মোহাম্মদ রেজাউল করিম রনি, মোঃ আব্দুল জলিল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ইসলামী আন্দোলন মহানগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পতিত সরকারের সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের নামে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে মাঠে নামানোর পরও আইন-শৃঙ্খলার কাঙ্খিত উন্নতি চোখে পড়ছে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন বলেন,পরাজিত শক্তিগুলো এখনও বিভিন্নভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে তৎপর রয়েছে। দেশপ্রেমিক জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থেকে এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
গণ সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও বীর শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।