খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের সমাজে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে যারা অর্থ ও দিকনির্দেশনার অভাবে সঠিকভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। অনেক সময় অর্থকষ্টে পড়াশোনা বাদ দিয়ে তাদের উপার্জনে নামতে হয়। উচ্চ শিক্ষার জন্য এ সকল অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো একটি মহৎ কাজ। আমাদের একটু সহযোগিতা পেলে হয়ত তাদের ভবিষ্যৎ সঠিকভাবে গড়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান, বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবাধর্মী সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা উচিত।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের অডিটরিয়ামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘বনফুল’ আয়োজিত উচ্চ শিক্ষার জন্য আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত সমান। ফলে এখানে ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন সংকট রয়েছে। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীদের হলে সিট দেওয়া সম্ভব হয় না। এতে দূর-দূরান্তের অনেক ছাত্রী ভোগান্তিতে পড়ে। তাদের জন্য মানবিক দিক বিবেচনায় বনফুলের পক্ষ থেকে ছাত্রী হোস্টেল করা সম্ভব হয় কি না বিষয়টি ভেবে দেখতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। পরে তিনি ‘বনফুল’ এর আয়োজনে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তির দ্বিতীয় ধাপের চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। সভাপতিত্ব করেন বনফুল এর সভানেত্রী বেগম রেহানা আখতার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বনফুল এর নির্বাহী পরিচালক আফরোজা ইসলাম। এ সময় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বনফুল এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া আখতার হোসেনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।