খুলনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মহানগরীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও ইয়াবা সম্রাট সজিবসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩ রাউন্ড ব্লাঙ্ক কার্টিজ এমুনিশন, ১ হাজার ৬১৭ পিস ইয়াবা, ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, ২১টি মোবাইল সেট, ১টি ল্যাপটপ, ৫টি সিসি ক্যামেরা ও ১টি রাম দা ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে মহানগরীর চানমারি ও রূপসা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
নৌবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার নগরীর সদর থানাধীন চাঁনমারী এলাকায় নৌবাহিনী নেতৃত্বে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার বিষয়ক একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চানমারী বাজার, ২ নং গলির বাসা থেকে ইয়াবা সম্রাট মো: সজিব ইসলামকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বাসায় তল্লাশি করে ৩ রাউন্ড ব্লাঙ্ক কার্টিজ এমুনিশন, ১ হাজার ৬১৭ পিস ইয়াবা, ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, ২১টি মোবাইল সেট, ১টি ল্যাপটপ, ৫টি সিসি ক্যামেরা ও ১টি রাম দা জব্দ করা হয়। সজিব ইসলামের বিরুদ্ধে ১১ টি মামলা রয়েছে। সজিব ক্রসফায়ারে নিহত সুন্দরবনের বনদস্যু জুলফিকার আলী ওরফে জুলফির ছেলে। তার ছোট ভাই আশিক ইসলাম নগরীর ভয়ংকর কিশোর গ্যাং ‘আশিক গ্রুপের প্রধান।
পরবর্তীতে সজীবের দেওয়া তথ্য মতে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এক নারীসহ আরো চারজনকে রূপসা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে- নতুন বাজার এলাকার আসাদুল আসাদুল গাজীর ছেলে মো: ফয়েজ রাব্বী (২৯), চানমারি মাদ্রাসা রোড এলাকার ইয়াকুব মোল্লা (৪২), দাকোপ উপজেলা সদরের জালাল গাজীর ছেলে মো: জিয়ারুল ইসলাম নিরব (২১) ও রূপসা বেড়িবাধ রোডস্থ সত্তার বড় মিঞার গলির মোহাম্মদ তোয়েব আলী সিকদারেরের মেয়ে জামিলা বেগম (৩৮)। আটককৃতদের খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর ও মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নৌবাহিনীর খুলনার দায়িত্বপ্রাপ্ত লেঃ কমান্ডার সামওয়েল আহমেদ খান আদিত বলেন, যৌথ অভিযানে নৌবাহিনীর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ অংশগ্রহণ করে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর-উল-গিয়াস বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযান ও আটকের বিষয়টি তিনি অবহিত রয়েছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আটককৃতদের এখনো থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।