ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ‘অসুর’ শক্তির পতন হয়েছে উল্লেখ করে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছে পৃথিবীতে অসুর শক্তিকে বধ করার জন্য। মানুষে মানুষে ভাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার জন্য। হিংসা, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসাকে দূর করে ভালোবাসার প্রেমের সমাজ নির্মাণ করার জন্য। আজকে সেই সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে নগরীর পৈ-পাড়া মন্দির, ঋষিপাড়া মন্দির ও কৃষ্ণর মোড় মন্দির পরিদর্শন ও পুজারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বোধনের মাধ্যমে পশু শক্তির বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাই দুর্গাপূজার মূল সুর। তাই দুষ্টের দমনের পাশাপাশি বিশ্বজনীন শান্তির প্রত্যাশায় দুর্গোৎসব পালিত হয়। পাশাপাশি দুর্গোৎসব প্রতি বছর বয়ে আনে আনন্দ ও শান্তির বারতা। শান্তির এই অমীয় ধারায় সৌহার্দ্যের মেল বন্ধনে এ দেশে গড়ে উঠেছে অনন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যা জাতি হিসেবে আমাদের করেছে গর্বিত। দুর্গোৎসবের আনন্দ ও চেতনা সকলের মাঝে প্রীতি ও ভালোবাসা জাগ্রত করুক, পারস্পারিক ঐক্যের বন্ধন হোক আরো সুদৃঢ়, অম্লান হোক সুখ-সমৃদ্ধি, অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে নিবেদিত হোক। তিনি আরো দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা সদা তৎপর রয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৈ-পাড়া সার্বজনিন কালী মন্দিরের সভাপতি গৌতম কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বাবু গৌরাঙ্গ দে, সৈয়দা রেহানা ঈসা, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ জামাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিলটন, কাজী মোঃ মিজানুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনি, মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁন, মনিরুল ইসলাম মনির, মোঃ পলাশ হোসেন, মোঃ লিটন শেখ, মোঃ মিন্টু মোল্লা, মোঃ লাল চাঁন মোল্লা, শেখ আসাবুর, আঃ রহিম, হাফিজুর রহমান হাফিজ, রফিকুল ইসলাম শান্ত, সৈয়দ আশফাক নাদিম, মোঃ নজরুল, মোঃ সোহেল, মেহেদী হাসান বাবু, ইসমাইল গাজী, ফারুক হোসেন, আইনাল, মানিক সরদার, কাজী আব্দুর রহমান, খোকন,সাব্বির, নয়ন, কাজী ওয়াইজ উদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।