বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন দেশে নতুন করে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হোক সেটা চাই না।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। তার আগে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যদি দেশে আবার নতুন করে সংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরির পাঁয়তারা করে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মিলে তা প্রতিহত করা হবে।
বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবেই বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রপতির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, খুনি হাসিনার অন্যতম দোসর এই অবৈধ রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। তবে রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী চক্রান্ত করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে এবি যুবপার্টির বিক্ষোভ মিছিলপূর্ববর্তী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ জাতীয় শত্রু চিহ্নিত করে ফেলেছে। এ দেশের চিহ্নিত জাতীয় শত্রু হচ্ছে ভারত ও তার তাঁবেদার আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে গণভবন ছেড়ে পালিয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আইডল শেখ হাসিনা। এখন এই অবৈধ রাষ্ট্রপতি পলাতক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র খুঁজছেন। তার সব মন্তব্য ও প্রচেষ্টা পতিত ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের রক্ষা ও পুনর্বাসন করা। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, চিহ্নিত জাতীয় শত্রুদের কেউ পুনর্বাসন করার দুঃসাহস দেখালে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধর অনুসারীরা আবার জীবন দেবে, রক্ত দেবে কিন্তু তাদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ দেবে না। জনগণ কীভাবে দেশকে, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হয়- তা জীবন দিয়ে শিখে ফেলেছে। এই দেশ নিয়ে আর কাউকে চক্রান্ত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।