খুলনা অফিসঃবাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন (বিপিএইচসিডিওএ) খুলনা শাখার নেতৃবৃন্দ বলেছে বেসরকারি হাসপাতালে আবারও সশস্ত্র অবস্থায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলে তাৎক্ষণাৎ সকল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে। তারা এ বিষয় বিবেচনা করতে সিটি মেয়র ও খুলনার সংসদ সদস্যদের আহ্বান জানান। গত রবিবার রাতে বিপিসিএইচডিওএ খুলনার কার্যকারী পরিষদের এক জরুরি সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন “সশস্ত্র অবস্থায় হাসপাতাল ক্লিনিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে রোগীদের ভীতির সৃষ্টি করা ও চিকিৎসারত অবস্থায় চিকিৎসক কে উঠিয়ে নেওয়া এবং অভিযান পরিচালনার সময়ে ভোক্তা আইনের সুনির্দিষ্ট ৭৩ ধারা পাশ কাটিয়ে অন্য ধারায় সাজা প্রদান করায়” বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ আতঙ্কিত বিধায় দুই ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করায় সংগঠনের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনার সভাপতি ডাঃ গাজী মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিএমএ সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম। ডাঃ এম আর খান, ডাঃ মোঃ মোস্তফা কামাল, ডাঃ মোল্লা হারুন-অর-রশীদ। ডাঃ মোঃ সওকাত আলী লস্কর, ডাঃ এম বি জামান, ডাঃ এম এ হান্নান, ডাঃ গৌতম রায়, ডাঃ বঙ্গ কমল বসু, ফারুক আহমেদ, ডাঃ সৈয়েদা জাহানারা মাহমুদ, ডাঃ বিশ্বজিৎ সরকার, মোঃ রুহুল আমিন। ডাঃ এম আশরাফ আলী, ডাঃ জগবন্ধু দাশ, অসিত বরণ বিশ্বাস, এড. সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, বিপ্লব কুমার দাশ, মোঃ হাবিবুর রহমান মিয়া, শামিম আরা নীলা ও বিধান বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন বিকেলে উপস্থিত চিকিৎসক না থাকা, পোস্ট অপারেটিভ সাপোর্ট না নিয়ে অপারেশন করা, নির্ধারিত বেডের বেশি বেড পরিচালনা, লাইসেন্স বিহীন প্যাথেডিন রাখা, মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ রাখাসহ নানান অভিযোগে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এদিকে চিকিৎসা অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে মৃতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ফলে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার কারণে হেফাজতে নিয়ে আবার ছেড়ে দেয় র্যাব-৬।