খুলনা অফিসঃমহানগরীর খোলাবাড়ি মৌজায় ২০ একর জমির উপর বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। পরিকল্পনার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হিসেবে রয়েছে জনসভার স্থান, ঈদগাহ, খেলার মাঠ, সাপ্তাহিক হাট, জলাশয়, ওয়াকওয়ে ও গাছপালাসহ পার্ক নির্মাণ। ইতোমধ্যে ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রেপোজল (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শহরের উপর চাপ কমবে ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের জন্য অন্যতম ভেন্যু তৈরি হবে।
কেডিএ’র ভাষ্য অনুযায়ী, নগরীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনসভা আয়োজনে ভাল কোন স্থান নেই। একমাত্র সার্কিট হাউজ ময়দানে কোন সভার আয়োজন করলে বেশির ভাগ সড়ক বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্তহীন ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। নেই উপযুক্ত খেলার মাঠ। যেসব মাঠ রয়েছে তা বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়। ফলে সব সময় মাঠের অভাবে খেলাধুলার আয়োজন করা সম্ভব হয় না। সম্প্রতি সড়ক ও অলি-গলিতে ভাসমান বাজার বসছে। যা কারণে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এরপর শহরে কোথাও বড় ধরনের জলাশয় নেই। ছোট ছোট পুকুরগুলোও বসতবাড়িসহ নানা কারণে ভরাট করা হচ্ছে। ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে সহজে পানির স্তর পাওয়া যাচ্ছে না। শরীরচর্চাসহ নানাকারণে প্রতিনিয়ত মানবদেহে রোগ-ব্যাধিতে বাসা বাঁধছে। তাই এসব ব্যাধি থেকে নিস্তার ও সুস্থ জীবন-যাপনে হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম জরুরি। কিন্তু নির্ধারিত স্থান না থাকায় সড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে শরীরচর্চা করতে হয়। এছাড়া নগরীতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। নেই প্রাকৃতিক পরিবেশে একবিন্দু নিঃশ্বাস নেয়ার মতো অবস্থা। ফলে শহর জীবন অনেকটা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। তাই এসব সংকট নিরসনে নগরীর খোলাবাড়ি মৌজায় ২০ একর জমির উপর বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে জনসভার স্থান, ঈদগাহ, খেলার মাঠ, সাপ্তাহিক হাট, জলাশয় ও ওয়াকওয়ে এবং গাছপালাসহ পার্ক নির্মাণ। ইতোমধ্যে ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রেপোজল (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্ত) মোঃ আরমান হোসেন বলেন, গত ১০ এপ্রিল ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রেপোজল (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প অনুমোদন মিললে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে, শহরের উপর চাপ ও যানজট কমবে, বিনোদন স্পট, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের জন্য অন্যতম ভেন্যু ও গাড়ি পার্কিং জোন তৈরি হবে।সূত্র-সময়ের খবর