গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই যারা করেছেন তাদের সকলের সমর্থন নিয়ে তাদের প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন এই সরকার। এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এই সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এটা সরকারেরও মনে রাখা দরকার, আমাদের সকলেরও মনে রাখা দরকার। কারণ এই সরকারের সাফল্য মানে আমাদের সম্মিলিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন। সেই কারণে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের আলহাজ্ব লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ কেমন বাংলাদেশ চাই? শীর্ষক গণসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের লাখো ছাত্র, তরুণ, শ্রমিক, শিশু, কিশোর, অভিভাবক সকল স্তরের মানুষের একটা সংগ্রামের ফল অন্তবর্তীকালীন সরকার। সেই মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে একটা উত্থান ঘটেছে ২০২৪ এ। উত্থানের মধ্য দিয়ে যে অভ্যুত্থান একটা সরকার পদত্যাগই করেনি, পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পারছি পতিত ফ্যাসিস্টরা ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে ষড়যন্ত্র করছে। আর ভারতের গণমাধ্যমের একটা অংশ এবং বিজেপি তাদের নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিসদের সাহায্য করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে চিত্রিত করছে এইখানে নাকি হিন্দুদের নিরাপত্তা নেই, বৌদ্ধদের নিরাপত্তা নেই কিংবা চাকমা, বার্মা, ত্রিপুরা অন্য জাতির সদস্যদের নিরাপত্তা নেই। এখানে নাকি নারীরা নিরাপদে নাই। হ্যা, তবে ৫ ই আগস্টের পরে কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত করেন। কারণ এরা যভাবে এটাকে প্রচার করছে, তাতে বলা যায় এটাতে তাদেরও সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। পতিত ফ্যাসিস্টরাই হামলা করতে পারে। তদন্ত করেন, প্রত্যেকটি ঘটনারই বিচার করতে হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলি কোন ঘটনা আমরা ধামাচাপা দিতে চাই না। এদেশের সকল জাতি, ধর্ম বর্ণের মানুষ নিরাপত্তার সঙ্গে থাকবে এটা আমাদের অঙ্গীকার, সরকারের অঙ্গীকার। এর ব্যত্যয় যারা ঘটাবে, তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। এটাই আমাদের সামনের শপথ।
সংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল ও গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল এবং সঞ্চালনায় করেন জেলা কমিটির সদস্য আল আমিন শেখ। সংলাপে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন।