পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী পৌরসভার বিগত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়নকে গুলি ও কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম নামে আরেক যুবদল নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের অরণকোলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষরা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও বিএনপির একটি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। আহত অবস্থায় সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন ও যুবদল নেতা রেজাউল করিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিজয় দিবসে সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়নের উদ্যোগে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনে জমায়েত হয়। সেই মিছিলে অরণকোলা এলাকার স্থানীয় বেশ কিছু ছাত্রদলকর্মী অংশগ্রহণ করেন। মূলত সেই আক্রোশের জের ধরেই রাত নয়টার দিকে পৌর শহরের অরণকোলা মোড়ে ১৫-২০ জনের একটি প্রতিপক্ষ গ্রুপ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নয়নকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম, গুলিবর্ষণ ও বিএনপির একটি অফিস ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আহত নয়নের ভাই সৈকত ইসলাম ও কয়েকজন ছাত্রদলকর্মী বলেন, আমরা কয়েকজন অরণকোলা মোড়ে বসেছিলাম। হঠাৎ করে ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে নয়নকে কুপিয়ে যখম ও আরেক যুবদল নেতা রেজাউল করিমকে পিটিয়ে আহত করে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসেন।
ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুনেছি বিজয় দিবসে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়েছে। তবে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।