খুলনা অফিসঃওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক(প্রকৌশল) ও প্রধান প্রকৌশলী মো: হাছান আলী তালুকদার গতকাল রোববার চাকরী থেকে স্বেচ্ছাবসরে গেছেন।
যথারীতি ওইদিন তিনি পত্র দিয়ে কোম্পানী কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরেরও অনুরোধ জানান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ দায়িত্ব বুঝে নেননি। পক্ষান্তরে হাসান আলী তালুকদারও সোমবার অফিস করেননি।
অর্থাৎ নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী বিহীন ওজোপাডিকো অতিবাহিত করল একটি দিন। ওজোপাডিকোর সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক(প্রকৌশল) মো: হাছান আলী তালুকদার গত ২৬ এপ্রিল নোটিশ দিয়ে স্বেচ্ছাবসের যাবার ঘোষণা দেন।
চাকরী বিধি অনুযায়ী কেউ স্বেচ্ছাবসরে গেলে এক মাস আগে নোটিশ দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তিনি দেন দেড় মাস আগে। তবে তাকে স্বেচ্ছাবসরে না দেয়ার কৌশল হিসেবে গত ২৬ জুন ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষ তাকে পত্র দিয়ে জানান যে, যেহেতু তার বিরুদ্ধে কৈফিয়ত তলব রয়েছে সেহেতু চাকরী বিধিমালার ৭(১২) ধারা অনুযায়ী সেটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বেচ্ছাবসর দেয়া হবে না। অবশ্য ৩০ জুন প্রকৌশলী মো: হাছান আলী তালুকদার পত্র দিয়ে জানান, ৭(১২) ধারায় যেহেতু মামলা ও শোকজের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে সেহেতু তার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র কৈফিয়ত তলব থাকায় ওই ধারায় তাকে আটকে রাখার কোন সুযোগ নেই।
অর্থাৎ ওই ধারা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে তিনি অবসরে যাবার জন্য রোববারই তার কর্মজীবন শেষ করেন। এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় ওজোপাডিকো থেকে পিয়ন মারফত পত্র পাঠানো হয়।
যদিও সেটি তিনি অফিসিয়াল চিঠি অফিস সময়ের বাইরে গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গে একটি সূত্র বলছে, হাছান আলী তালুকদারকে চাকরীতে ধরে রাখতে কোম্পানী কর্তৃপক্ষ পেছনের তারিখে হয়ত শোকজ দেখিয়েছেন। যেটি আরও একটি দুর্নীতি-অনিয়ম বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজী হননি স্বেচ্ছাবসরে যাওয়া প্রকৌশলী হাছান আলী তালুকদার। তিনি বলেন, যা বলার কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছি। আবার ওজোপাডিকোলি:এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: শফিক উদ্দিনের ব্যবহৃত অফিসিয়াল নম্বরে আজ সোমবার একাধিকবার রিং দেয়া হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
রিসিভ হয়নি কোম্পানীর উপ-মহাব্যবস্থাপক, এইচআর এন্ড এডমিন মো: আলমগীর কবীরের নম্বরটিও।