শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনও দেশে রয়ে গেছে; তারা ঘাপটি মেরে বসে আছে উল্লেখ করে বিএনপি জাতীয় নির্বার্হী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু স্বৈরাচারের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নাই। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে বলেই মনে করবেন না যে সব স্বৈরাচাররা, ফ্যাসিবাদের দোসররা পালিয়ে গেছে; না, আছে তারা। দেশে নানা রকম গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, নানা রকম বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। সকলকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে, সাবধান থাকতে হবে। কোনো রকমের গুজব, কোনো রকমের বিভ্রান্তিতে পা দেয়া যাবে না। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তে নতুন স্বাধীনতার পেয়েছে এ জাতি। অন্তবর্তী সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় খালিশপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িবে বাড়িতে শীতের কম্বল বিতরণকালে মুজগুন্নি নেছারিয়া মাদ্রাসা এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৬-১৭ বছর খুলনায় যারা অপশাসন, লুটপাট করেছেন। তারা বর্ণচোরা রুপে এখনো রয়েছেন। আওয়ামী লীগের লুটেরাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে অথচ পুলিশ প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করছে না। বকুল বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার সরকার। এই সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে একটি জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। যে নির্বাচনে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্র-জনতার রক্তের বিচার যতদিন না বাংলার মাটিতে হবে ততদিন বিএনপি রাজপথে থাকবে। ইদানিং বর্ণচোরা একটি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন অফিস আদালত ও সামাজিক সংগঠনগুলো দখলে নেয়ার পায়তারা করছেন তাদের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। যারা এসব দখলবাজি করবে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
কম্বল বিতরণকালে বিএনপি নেতা স ম আব্দুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, এড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবু, হাবিবুব রহমান বিশ্বাস, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মো. জাহিদুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, হায়দার তরফদার, গোলাম মোস্তফা ভুট্টো, গাজী সালাউদ্দিন, শেখ নুরুল ইসলাম নুরু, মাহফুর রহমান মাজু, কালাম হোসেন, আব্দুল আজিজ সুমন, রকিবুল ইসলাম মতি, নাছির উদ্দিন, আনজিরা খাতুনসহ মহানগর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।