মধ্যরাতে বাঁশখালী বহিঃনোঙ্গর সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনার খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৬টি দেশীয় অস্ত্রসহ ১২ জন দুর্ধর্ষ জলদস্যুকে আটক করেছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের খাটখালী নদীর মোহনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সন্দেভাজন একটি কাঠের বোটে তল্লাশী চালিয়ে অস্ত্রসহ ডাকাতদের আটক করা হয়।
আটককৃত ডাকাত সদস্যরা হলেন- মো. রফিক (৪২), শহিদুল (২০), মো. টিপু (২২), মো. শাহাদাত (২৮), আমির (১৮), আরাফাত হোসেন (১৮), মো. রিদোয়ান (২২), নুরুল আবসার (২৪), আমির হোসাইন (২২), মোরশেদ (২২), আরিফ (১৯), নূর মোহাম্মদ (৫১)। এদের সকলেই মহেশখালী ও বাঁশখালীর বাসিন্দা।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম উল-হক জানান-`চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার খাটখালী নদীর মোহনায় সন্দেহভাজন একটি কাঠের বোট দৃষ্টিগোচর হলে কোস্ট গার্ডের আভিযানিক দল বোটটিকে থামানোর সংকেত প্রদান করে। এ সময় বোটটি কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া করে বোটটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত বোটটি তল্লাশী করে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১৬টি দেশীয় অস্ত্র যার মধ্যে ছুরি ৫টি, চাপাতি ৬টি, শাবল ৫টি, হাতুড়ি ২টিসহ ১২ জন ডাকাতকে আটক করা হয়।`
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাত দলের মূল হোতা মো. রফিক (৪২) এর নেতৃত্বে উক্ত ডাকাত দলটি চট্টগ্রামস্থ বাঁশখালী থানাধীন খাটখালী ঘাট হতে বোটযোগে ডাকাতির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালী বহিঃনোঙ্গরে গমন করে। ওই ডাকাত দল সমুদ্রে অবস্থানরত বিভিন্ন জেলেদের বোট এবং বাণিজ্যিক জাহাজের পাইরেসির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সিয়াম উল-হক আরও বলেন, `সমুদ্রে সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে ভবিষ্যতেও কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জব্দকৃত সকল আলামতসহ আটককৃত ডাকাতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।