ভোলা-বরিশাল-খুলনা গ্যাস পাইপ লাইনের রুট, ভোলা-বরিশাল অংশ অপরিবর্তিত রেখে ভোলা-বরিশাল-ঢাকা পাইপ লাইন করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ। সাথে সাথে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে ভোলা-বরিশাল-খুলনা গ্যাস পাইপ লাইনের রুট রাখার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। শনিবার (৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ ও দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান ও মাস্টার শফিকুল আলম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন ও সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত কয়েক দশক ধরেই খুলনাবাসীর মধ্যে পাইপলাইনের গ্যাস নিয়ে আলোচনা চলে আসছিল। গ্যাসের অভাবে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের শিল্প কলকারখানা চালু ও নতুন শিল্প গড়ে উঠছে না। সে দিকে লক্ষ্য না করে পেট্রোবাংলা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা খুলনা তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রতি বিমাতা সুলভ আচারণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলে শিল্প-কলকারখানা স্থাপন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা যেটুকু দেখা দিয়েছিল সেটা ধরে রাখতে পেট্রোবাংলার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পাইপ লাইনের গ্যাসের জন্য শুধু খুলনা নয় মোংলা ইপিজেডও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত হীনতার কারণে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য স্তবির হয়ে পড়বে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্তের সাথে বিভাগীয় শহর খুলনাকে গুরুত্ব দিয়ে ভোলা-বরিশাল-খুলনা গ্যাস পাইপলাইনের রুট নির্ধারণ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোলা-বরিশাল পাইপলাইনের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ করেছে, এমনকি বরিশাল-ঢাকা পাইপলাইনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ৫ মার্চ ফাইলে স্বাক্ষরও হয়েছে কিন্তু এই সিদ্ধান্ত যে পরিবর্তন করা যাবে না এমন কোন কারণ তো নেই। নেতৃবৃন্দ বিবিৃতিতে অবিলম্বে আবারো ভোলা-বরিশাল-খুলনা গ্যাস পাইপ লাইনের রুট সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গঠনে ছাত্র-জনতার যে গণঅভ্যুত্থানের সরকার সে সরকারকে একটি অঞ্চলের প্রতি বৈষম্য করে জনদাবির প্রতি অবজ্ঞা করে কোন দিন বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে এই সিদ্ধান্তের সাথে খুলনাকে যুক্ত না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে খুলনা তথা এ অঞ্চলকে অচল করে দিয়ে দাবি আদায় করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।