মাগুরার আছিয়ার পর এবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নাডুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে মামলা করেছেন।
রোববার (৯ মার্চ) জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসি ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত স্কুলছাত্র।
জানা গেছে, নাডুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় একই গ্রামে এনজিও পরিচালিত ‘আঁচল’ নামের স্কুলে পড়ালেখা করছিল ভুক্তভোগী ছাত্রী। গত ৯ মার্চ সকাল ১০টায় সেখানে গেলে এক কিশোর (১৫) তাকে ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রী চিৎকার করলে ওই কিশোর পালিয়ে যায়।
ওইদিন দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুটি বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পারলে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ করে। এতে অবস্থার উন্নতি না হলে মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জ থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার । স্কুলছাত্রীর চাচি সুখী বেগম বলেন, ‘এত ছোট একটি মেয়ের সঙ্গে এ কাজ করতে পারে ভাবতে পারি না। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছেলের শাস্তি দাবি করছি।’
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক উম্মে রুমান লিমা বলেন, আগের তুলনাই স্কুলছাত্রী ভালো আছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সে ভয় পেয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গেল রোববার সকালে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শিশু যত্ন কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় একটি এনজিও পরিচালিত ‘আঁচল’ স্কুলে পড়তে যায়। আঁচল স্কুলের শিক্ষিকার বাড়িতে স্থাপিত স্কুলে পড়তে যাওয়া শিশুটিকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় পরিবার। বুধবার সকালে এ বিষয়টি জানাজানির পর পুলিশের তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত স্কুলছাত্রকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের তৎপরতায় নির্যাতিত ওই শিশু ছাত্রীকে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।