বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, নামাজ রোযার মতোই যাকাত আদায় করা একটি ফরয ইবাদত। একজন মুসলমান হিসেবে নামায ও রোযার ফরয বিধানকে আমরা সঠিকভাবে পালন করলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। যাকাত সম্পদের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধি অর্জন করার সর্বোত্তমপন্থা।’
তিনি বলেন, যাকাত সমাজে একটি কল্যাণমূলক ব্যবস্থা। ইসলামী শরিয়া মোতাবেক সম্পদশালী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের একটি অংশ মহান রবের খুশির জন্য দরিদ্র্য অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে বিলিবন্টন করলে অস্বচ্ছল ব্যক্তিরা স্বচ্ছল হয় এবং ধনী ও গরীব শ্রেণির মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ হয়। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে যাকাত আদায়ের প্রতি যত্নশীল হবার উদাত্ত আহ্বান জানান।
বুধবার (১৯ মার্চ) খুলনা মহানগরীর ১ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় বণিকপাড়া মাঠে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায তিনি এ সব কথা বলেন।
১ নং ওয়ার্ড আমীর রেজাউল কবিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা সেলিম রেজার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, আইবিডব্লিউএফ এর সেক্রেটারি আজিজুর রহমান স্বপ্নন, থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন আলমগীর, সহকারী সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন পারভেজ, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হক ও মাওলানা হাবিবুর রহমান। এতে অন্যান্যের মধ্যে জামায়াত নেতা আব্দুল হাই, আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ কানু, সোলাইমান নোমানী, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, শেখ আলাউদ্দিন, মু নিজাম খন, শ্রমিক নেতা দবির উদ্দিন মোল্লা, আব্দুল হাকিম, কামরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ছাত্রশিবির নেতা মারুফ হোসেন, আবুল কাশেম, ইউপি মেম্বার এনামুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইফতারে পূর্বে দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে দেশের জনগণের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘ দিন ধরে কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। এই ইসলামী আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক আলেমেদ্বীনকে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে এদেশের আলেম সমাজের উপর অন্যায় ভাবে জুলুম চালিয়েছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে হাজার হাজার জামায়াতে ইসলামী’র নেতা কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক করেছিলো। দীর্ঘ ১৫টি বছর কোনো নেতাকর্মী কে ঘরে ঘুমাতে দেয়নি। তিনি বলেন, সৎ লোকের শাসন ছাড়া একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব না। এই দেশে ইসলামী মূল্যবোধের সরকার না থাকায় স্থাপনা তৈরীতে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি ইসলামী মূল্যবোধের নেতাদের নির্বাচিত করা যায় তাহলে দেশ একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। দেশে ইসলামী আইন চালু হলে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ থাকবে। সমাজ থেকে ঘুষ, দূর্ণীতি ও শোষন মুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে। সমাজ থেকে খুন, গুম ও ধর্ষণের মতো অপরাধ বিদায় হবে ইনশাআল্লাহ।