ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলার উদ্যোগে মঙ্গলবার( ৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় চৌরঙ্গী মোড়ে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার সমন্বয়ক শিক্ষাবিদ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ মাগুরা জেলার আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি এটিএম মহব্বত আলী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এটিএম আনিসুর রহমান ও বিপ্লবী যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সদস্য অনিন্দ্য আরিফ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় মার্কিন মদদে ইসরায়েলি বোমা হামলা ও গণহত্যা অব্যাহত আছে। ৬ এপ্রিল থেকে এই হামলার তীব্রতা ও ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্বর হামলা ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সারা দুনিয়ার শান্তিপ্রিয় মানুষের সঙ্গে আমরাও সংহতি জানাচ্ছি।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও খনিজসম্পদের দখল ও ঐ অঞ্চলে সামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। সেজন্য অস্ত্র-অর্থসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতায় ও মদদে ইসরাইল গণহত্যায় মেতে উঠেছে। এই ধ্বংসযজ্ঞে গাজার ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও গির্জা ধ্বংস হয়েছে; পানি ও পয়োনিষ্কানের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ ধ্বংস করেছে এমনকি জাতিসংঘ ভবনও ধ্বংস করা হয়েছে। পুরো গাজার ৮৩ শতাংশ গাছপালা, ৮০ শতাংশের বেশি কৃষিজমি ও ৯৫ শতাংশ গবাদিপশু নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গাজায় যে হামলা চালানো হচ্ছে তা অতীতের যে কোনো যুদ্ধের ভয়াবহতাকে হার মানিয়েছে। এখন সেখানে কোন ত্রাণ পৌছাতে পারছে না যে কারণে সেখানকার মানুষ ক্ষুধা দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে।
নেতৃবৃন্দ, ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও দেশে দেশে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্ট সকল যুদ্ধ ও যুদ্ধ উন্মাদনার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে প্রতিবাদ প্রতিরোধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। একই সাথে গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ারও জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারকে গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলা ও গণহত্যা বন্ধের দাবি আন্তর্জাতিক সকল ফোরামে তুলে ধরা এবং গণহত্যাকারী নেতানিয়াহুর বিচারের দাবি উত্থাপনের আহ্বান জানান।