প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তার নাম- মেহেরাজ ইসলাম। বুধবার যৌথ অভিযানের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে শিঙ্গাড়া খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাদের একজন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জেরে খুন হন পারভেজ।
ঘটনার পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার নেতৃত্বে পারভেজকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার পর গত রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজিকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত রোববার রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার হন কামাল হোসেন, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। তাদের সবাইকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।