সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৫ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা খুন | চ্যানেল খুলনা

৫ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা খুন

‘রক্তের বদলা’। বেশ পুরনো বাংলা ছবি। সেই ছবির কুশীলব ছিলেন জসীম, ইলিয়াস কাঞ্চনসহ অনেকই। সেই সময়ের জনপ্রিয় নায়ক আলমগীর ওই ছবিতে ছিলেন না। তবে পৌর নির্বাচন ঘিরে বাংলা চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকেও হার মানানো ঝিনাইদহের শৈলকুপার ঘটনায় কুশীলব হিসেবে ঠিকই আছেন আরেক ‘আলমগীর’। পুরো নাম আলমগীর হোসেন বাবু। তিনি ছিলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার ৮ নম্বর কবিরপুর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। গত বুধবার রাতে প্রতিশোধের বলি হয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

এর আগে একই ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেনের আপন ভাই শৈলকুপার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন বল্টুকে যখন আলমগীর হোসেন বাবুর সাঙ্গোপাঙ্গরা কুপিয়ে গত বুধবার হত্যা করে তখন রাত ৯টা। ভাই হত্যার শোধ নিতে শওকত হোসেন ঘড়ির কাঁটা ধরে সময় নিলেন মাত্র পাঁচ ঘণ্টা। রাত না পেরোতেই যেন রক্তের বদলা। মধ্যরাতেই কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর প্রাণ কেড়ে নিয়ে কুমার নদের পারে ফেলে রাখা হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় শৈলকুপার ভোটের মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ রকম প্রেক্ষাপটে ওই ওয়ার্ডের ভোটের তফসিল বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল শনিবার এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা দলটির ক্ষমতাবানদের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে খুনোখুনিতে জড়িয়েছেন। প্রতিপক্ষকে হুমকি দেওয়ার পর সেই হুমকি কার্যকর করছেন স্বল্প সময়ের মধ্যেই। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও যদি কেউ এসব ক্ষমতাবান প্রার্থীর বিষয়ে মন্তব্য করে, তাহলেও তাঁরা শক্তি প্রদর্শন ও অস্ত্রবাজি করছেন। এ ধরনের অস্ত্রবাজি করতে গিয়েই গত মঙ্গলবার রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুল কাদের তাঁর অনুসারীদের নিয়ে হামলে পড়েন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের গণসংযোগে। সেখানে গুলি ছুড়লে পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ব্যবসায়ী আজগর আলী বাবুল। পায়ে গুলি বিদ্ধ হয় মোহাম্মদ মাহাবুব নামে আরেক ব্যক্তির।

খুনোখুনিতে জড়ানোর পর রাতেই কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে বাবুলের ছেলের দায়ের করা মামলায় কাদেরসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে পাঠায়।

এদিকে দেশজুড়ে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদিনই ঘটছে সহিংসতা। হঠাৎ স্থানীয় নির্বাচনে রক্তারক্তি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রার্থী, ভোটারসহ সবাই। বিরোধী দল চুপ থাকলেও নির্বাচনী মাঠে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা নিজেরাই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় বিশিষ্টজনরাও উৎকণ্ঠায়।

এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ফয়দাভিত্তিক রাজনীতির কারণেই এ ধরনের সহিংসতা ঘটছে। আমাদের পর্যবেক্ষণ, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে বিরোধে সহিংস ঘটনা ঘটছে। সরকারি দল ও বিরোধী দলের প্রার্থীদের মধ্যে ততটা সংঘর্ষের ঘটনা নেই। পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভোটাররা কাকে ভোট দেবে, আদৌ ভোট দেবে কি না, সেটা বড় ব্যাপার নয়; ক্ষমতাসীন দল যাকে মনোনয়ন দেবে সে-ই নির্বাচিত হবে। এ জন্য ফয়দা চেইনের মধ্যে যাওয়ার জন্য দলের মধ্যেই সহিংস প্রতিযোগিতা হচ্ছে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।’

এদিকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখছি, নির্বাচন সহিংসতার দিকে মোড় নিচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটিতে একজন, শৈলকুপায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যম থেকে এসব খবর পাচ্ছি। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অ্যাকশন নেওয়ার জন্য বলেছি। যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে সেখানে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

শৈলকুপায় জোড়া খুন : শৈলকুপার ৮ নম্বর কবিরপুর ওয়ার্ডে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের একাধিক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ছিলেন। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৮ নম্বর কবিরপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শওকত হোসেন ও আলমগীর খান বাবুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শওকত হোসেনের ছোট ভাই লিয়াকত হোসেন বল্টুকে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে আহত করে। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। এ সংঘর্ষের পর বুধবার রাত ২টার দিকে এলাকাবাসী দেবতলা গ্রামের কুমার নদের পারে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমগীর খান বাবুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। উভয় কাউন্সিলর পদপ্রার্থীই আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী কাজী আশরাফুল আজমের সমর্থক। গত বুধবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শওকতের ভাই লিয়াকত এবং তাঁর লোকজন অন্য প্রার্থী আলমগীরের সমর্থক বাপ্পিকে মারধর করে। এরপর রাতে বাপ্পির নেতৃত্বে আলমগীরের লোকজন লিয়াকতের ওপর হামলা চালায়। হামলায় লিয়াকত মারা যান। তিনি কবিরপুরের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমগীর কবিরপুরের মৃত জালাল উদ্দিন খানের ছেলে।

লিয়াকত হোসেন বল্টুর ভাতিজা হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমার চাচা লিয়াকত নির্বাচনী প্রচারণা শেষে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পথে আলমগীর খানের সমর্থক বাপ্পি ও তার লোকজন চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করে।’

এদিকে আলমগীর খান বাবুর স্ত্রী ইতি খাতুন জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে তাঁর শেষ কথা হয়। সে সময় আলমগীর কুমার নদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বলে তিনি জানান। তাঁর স্বামীকে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শওকত হোসেনের লোকজন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের বিচারও দাবি করেন তিনি।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, কিভাবে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমগীর খান বাবুর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে। এসব ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য এলাকায় অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক রাখা হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি।

ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জানান, শৈলকুপার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরুষ কাউন্সিলর পদের ভোট বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

২৪ মামলার আসামি সাবেক কাউন্সিলর চট্টগ্রামের কাদের : চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুল কাদের একসময় ছিলেন মহানগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ২৪ মামলার এই আসামি ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন ২০১০ সালে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর। সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত কাদের গত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু এবার কাদের দলের সমর্থন পাননি। ফলে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোটে নামেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাবেক মেয়র নাছির নিজেই মনোনয়নবঞ্চিত হন। সঙ্গে তাঁর অনুসারী কাউন্সিলরদের বেশির ভাগই বাদ পড়েন। পরবর্তী সময়ে নাছিরের অনুসারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন। এই বিদ্রোহীরাই এখন নির্বাচনী সংঘাতে জড়াচ্ছেন। এর আগে গত ১৮ মার্চ নির্বাচনী প্রচারণার সময় (করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত) ছুরিকাঘাতে মারা যান আনোয়ার জাহিদ তানভীর নামের এক সমর্থক। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরীর বাড়ির সামনে ঘটেছিল এই ঘটনা। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী মোরশেদের সঙ্গে বিরোধ ছিল সমর্থন পাওয়া প্রার্থী মো. ইসমাইলের সমর্থকদের।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনী সহিংসতায় দ্বিতীয় খুনের ঘটনা ঘটে পাঠানটুলীতে, যেখানে আবদুল কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নজরুল ইসলাম বাহাদুর, যিনি প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। বাহাদুর এখন মহিউদ্দিনের ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নাছিরের অনুসারী খ্যাত আবদুল কাদেরের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছেন নওফেলের অনুসারী বাহাদুর। এই দুই প্রার্থী দুই ক্ষমতাবানকে অনুসরণ করে নির্বাচনী মাঠে আছেন। ক্ষমতা দেখাতে গিয়েই খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা। সরকার দলীয় রাজনৈতিক বিষয় হওয়ায় পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সরাসরি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে অপরাধের ধরন ও আগে-পরের কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে অপরাধ বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা বলছেন, কাদের এত দিন কাউন্সিলর পদে থেকে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। এতে সাধারণ মানুষ ভয়ে চুপ ছিল। এই সাধারণ মানুষের সমর্থনে বাহাদুর ভোটের মাঠে নিজের অবস্থান শক্ত মনে করছেন। সরকারি দল থেকে সমর্থন পাওয়া এবং ‘সাহস’ জোগাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী ছায়া হয়ে থাকাকে আশীর্বাদ মনে করেন বাহাদুর। এই কারণে তিনিও এলাকায় দাপুটে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সেই প্রচারণায় সংঘাতের শঙ্কা আগেই সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ঘটনার আগেই কাদের নির্বাচন কমিশনে বাহাদুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন। এরপর বাহাদুরের প্রচারণায় হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা করা হলো। এই খুনের ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। আর বাহাদুরের ছেলে বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন, সেই মামলায় কাদেরকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

গত বুধবার আজগর আলী বাবুলের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল। তিনি জানাজার মাঠে কারো নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একটি চক্র মাঠে নেমেছে। তারাই পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বাহাদুরের কর্মী বাবুল গুলিতে মারা যাওয়ার পরও সেই জানাজায় অংশ নিতে যাননি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

আজগর আলী বাবুল হত্যা পরিকল্পিত কি না, জানতে চাইলে সেই বিষয়ে তথ্য দেননি মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদ। তিনি বলেন, অনেক কারণ সামনে রেখে তদন্ত চলছে। তদন্তের আগে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

আড়ানীতে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সংঘর্ষ, আহত ১৩ : বাঘার আড়ানী পৌর নির্বাচন ঘিরে গত বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়াধাওয়ি হয়েছে। এ সময় ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং ৮-১০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহত হন বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীসহ কমপক্ষে ১৩ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে আড়ানী বাজারের তালতলায় এক পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন রাজশাহীর কাঠাখালী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। এ সময় রাস্তার উত্তর দিক থেকে ৮-১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে গণসংযোগ করে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর কর্মী ও সমর্থকরা তাঁর কার্যালয়ে ফিরছিলেন। আকস্মিক তাঁদের দেখে পেছন থেকে ধাওয়া করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদের লোকজন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ ও গোলাগুলি। এ ঘটনায় বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তার আলীকে প্রধান আসামি করে গত বুধবার রাতেই বিস্ফোরক আইনে ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অচেনা আরো ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে ।

বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে আগুন : বোয়ালমারী পৌর নির্বাচনের দুই দিন আগে আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী অফিস এবং নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত একটি নৌকা পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার গভীর রাতে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

উল্লাপাড়ায় ফের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীকে মারধর : উল্লাপাড়ায় ফের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ওয়াহিদুল আলম খান লিমনের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় শহরের এইচটি ইমাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে মেয়র পদপ্রার্থী এস এম নজরুলের নৌকা মার্কার উঠান বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহ আলম ও তাঁর সমর্থকদের মারধরের শিকার হন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী লিমন।

https://channelkhulna.tv/

সারাদেশ আরও সংবাদ

গোপালগঞ্জে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের গাড়ি বহরে হামলায় নিহত ২, আহত ৫০

সারাদেশে বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু

সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ২৯০৪ টাকা

ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেলেন ৭৩ পুলিশ কর্মকর্তা

উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা

নেত্রীকে দেশে না ফেরানো পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : কোটালীপাড়া আ.লীগ

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।