সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, বিএসএফের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় এইচআরডব্লিউ | চ্যানেল খুলনা

বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, বিএসএফের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় এইচআরডব্লিউ

বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, বিএসএফের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় এইচআরডব্লিউবাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের নতুন অভিযোগগুলোর তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআর ডব্লিউ)।

মঙ্গলবার সংস্থাটি জানায়, দশ বছর আগে ভারত সরকার ‘ট্রিগার হ্যাপি’র ঘোষণা দেয়। সেখানে বলা হয়েছিল, বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশী গুলির পরিবর্তে রাবার বুলেট ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। কিন্তু বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের বাসিন্দার ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ করে যাচ্ছে।

তবে বিএসএফ সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের ওপর আক্রমণ এলেই তারা শক্তি প্রয়োগ করেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, সীমান্ত বাহিনীর সংযত আচরণ ও মারণাস্ত্র ব্যবহার সীমিত রাখার ভারত সরকারের আদেশের পরেও হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধ কমেনি। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি করতে সরকারের ব্যর্থতা একে আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং এতে দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তে সংযত থাকা ও হত্যাকাণ্ডের অবসান ঘটাতে ভারত সরকার আদেশ জারির পর, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আলোচনার সময়ও এ বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ জানিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী অন্তত ৩৩৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে এবং ২০২০ সালে ৫১টি হত্যাসহ গুরুতর নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ বিষয়টি নিয়ে শুধু বাংলাদেশের সংস্থাগুলোর কথা নয়। খোদ ভারতীয় সংস্থা বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (এমএসইউএম) বলেছে, ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিএসএফ কমপক্ষে ১০৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি বিএসএফের বিরুদ্ধে খোদ ভারতীয় বাসিন্দাদেরও হয়রানি ও হুমকির অভিযোগ জানায়।

অভিযোগ আরও জানায়, বিএসএফ সেনারা নির্বিচারে সন্দেহভাজনদের আটক করে নির্যাতন করে এবং সীমান্তবর্তী এলাকার ভারতীয় বাসিন্দাদের হয়রানি ও হুমকি দেয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বিএসএফ এর এক বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১৩ ও ২০১৫ সালে বিশেষ বিএসএফ আদালতে দুই দফায় বিচার হয়। তবে, আদালত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবলকে খালাস দেন। মামলায় নতুন করে তদন্তের আবেদন এখন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মুলতবি আছে। ১৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানি খাতুন হত্যার ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয় যে, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারানোর পর কাঁটাতারে ঝুলে ছিল।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কিত জাতিসংঘের মূলনীতি মেনে নেওয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের কাজ করা উচিত। এতে কেবল প্রাণ রক্ষার জন্য চূড়ান্ত শক্তি ব্যবহারের অনুমতি আছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিএসএফের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে, প্রশাসনের উচিত গুরুতর অধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পদের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা এবং তাদেরকে বেসামরিক আদালতে বিচার করা।

https://channelkhulna.tv/

সারাদেশ আরও সংবাদ

গোপালগঞ্জে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের গাড়ি বহরে হামলায় নিহত ২, আহত ৫০

সারাদেশে বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু

সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ২৯০৪ টাকা

ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেলেন ৭৩ পুলিশ কর্মকর্তা

উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা

নেত্রীকে দেশে না ফেরানো পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : কোটালীপাড়া আ.লীগ

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।