চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনায় যেখানে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে চোলাই ও দেশী মদ। পাশাপাশি গাঁজা, ইয়াবাসহ হরেক রকমের মাদকদ্রব্য। বিশেষ দিনকে সামনে রেখে মাদক বিক্রেতারা আগে থেকেই মজুত করে এসব মাদকদ্রব্য। গত দু’দিনে মদের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এদের মধ্যে রয়েছেন ৭ জন পুরুষ ও একজন নারী। এছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরও দু’জন গুরুতর। খুলনায় মদপানে এক সাথে এতো মানুষের মৃত্যু এর আগে কখনও হয়নি।
এদিকে যত্রতত্র মদের ছড়াছড়িতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। এতে করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় ও পারিবারিক বিশেষ দিনে অহরহ মদপান করছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা বাহিনীর কোন প্রকার নজরদারি নেই বলে অভিযোগ তাদের। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তাহলে এসকল মদের দোকানের নিয়ন্ত্রনে কারা রয়েছেন?
গত মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা অবধি মহানগরী ও রূপসা উপজেলায় মদ্যপানে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন নগরীর গ্লাক্সোর মোড় মোড় এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ শীলের পুত্র সুজন শীল (২৬), রায়পাড়া ক্রস রোডের বাসিন্দা নির্মল শীলের পুত্র অমিত শীল (২২), ভৈরব টাওয়ারের বাসিন্দা মানিক বিশ্বাসের পুত্র রাজু বিশ্বাস (২৫), সোনাডাঙ্গার গল্লামারী এলাকার নরেন্দ্র দাসের পুত্র প্রসেনজিৎ দাস (২৯), তার আপন ভাই তাপস (৩৫), রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের সত্যরঞ্জন দাসের পুত্র পরিমল দাস (২৫) রাজাপুর গ্রামের নির্মল দাসের পুত্র দিপ্ত দাস (২২) ও সমীর বিশ্বাসের স্ত্রী ইন্দ্রানী বিশ্বাস (২৫) । নিহতদের মধ্যে ৭ জন বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ও একজন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) গভীর রাতে মারা যান। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন খুমেক হাসপাতালে ও একজন নগরীর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
এছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে ইমরান ও হৃদয় নামের দুই যুবক। হাসপাতালের চিকিৎসক খালেদ মাহমুদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, মহানগরীতে দেশী মদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান ৪টি, ফুলতলা ও চালনায় ১টি করে রয়েছে। এছাড়া বিদেশী (ফরেন) মদের দোকান (অপসপ) রয়েছে ১টি। ক্লাব (বার) রয়েছে দু’টি। তার একটি খুলনা ক্লাব ও অপরটি হোটেল ক্যাসল সালামে অবস্থিত।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, দেশী মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা তেমন ঘটে না। ভারতের ও চোলাই মদ খেয়ে এ ধরনের মৃত্যু হতে পারে। এ বিষয়ে তারা আজ তদন্ত শুরু করবেন বলে জানান।