মাগুরা-শ্রীপুর বাঁক সরলীকরণ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্প” এর অধীনে ৫৭ জন ব্যক্তির মাঝে মোট ২,৫৭,৪৭,১৮৫.৪০ (দুই কোটি সাতান্ন লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার একশত পঁচাশি টাকা চল্লিশ পয়সা মাত্র) টাকার ৫৭ টি এলএ চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ও কালেক্টর আবু নাসের বেগ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা প্রশাসক উপস্থিত চেক গ্রহীতাদের কাছে তাদের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চান। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মোছা: বাকেলা বেগম বলেন যে, “আমি বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করি। অনেক কষ্ট করে এই জমিটা কিনিছি। এই চেক পেতে আমার কোন অসুবিধা হয়নি। সরকার জমির দামের চেয়ে তিনগুণ বেশি টাকা দিয়েছে তাই আমি খুশি।”
ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণকারী অন্যান্যরা জানান যে, উন্নয়ন কাজের জন্য তাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বটে কিন্তু, জেলা প্রশাসকের নিকট হতে সরাসরি তাদের অধিগ্রহণকৃত জমির উপর দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণের চেক পেয়ে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। চেক পেতে কোন রকম ভোগান্তি বা হয়রানির শিকার হননি বলেও তারা জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।
অধিগ্রহণকৃত স্থানে ক্ষতিপূরণের এল এ চেক বিতরণ করা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন যে, “আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের এলএ চেক বিতরণ করেছি। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অধিগ্রহণকৃত স্থানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে চেক বিতরণ করছি। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার একদম শুরু থেকে চেক বিতরণ পর্যন্ত শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন যে, “অধিগ্রহণ একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় আইন-কানুন মেনে অনেকগুলো ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। আমাদের কিছু জনবল ঘাটতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিপূরণের চেকগুলো বিতরণ করা যায়।”
জেলা প্রশাসক সবাইকে আহবান করে বলেন যে, অধিগ্রহণ প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিপূরণের চেক পেতে কেউ যেন দালাল বা অন্য কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে না যায়, বরং তারা যেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সরাসরি জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করেন। এছাড়াও তিনি বলেন যে, ভূমি বা অন্য যেকোনো সেবা প্রদান করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।