যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ আবুল কাওসারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। বুধবার কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত মিজানুর রহমান মামলাটি করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হোসাইন অভিযোগ গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ আবুল কাওসার বলেন, প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আমি চেয়েছি মিজানুরকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হোক। নিজেকে বাঁচাতে মিজানুর চাঁদা দাবির ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে।
বাদী মিজানুর রহমানের অভিযোগ, তিনি সরকারি এমএম কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। কলেজের দক্ষিণ গেটের গেটম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ৯ জুলাই দর্শন বিভাগের অফিস সহায়ক মুজিবর রহমানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ২২ জুলাই মুজিবর রহমানের সঙ্গে তার মীমাংসা হয়। তদন্ত কমিটির কাছে মীমাংসার বিষয়টি লিখিত আকারে দেয়া হয়, যা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মুজিবর রহমান তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন উল্লেখ করা হয়। তারপর অধ্যক্ষ মিজানুরের চাকরি ফিরিয়ে না দিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি তার ওপর ক্ষিপ্ত হন।
এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রফেসর শেখ আবুল কাওসার বলেন, মিজানুর দর্শন বিভাগের পিয়ন মুজিবর রহমানকে পিটিয়ে জখম করেছে। তিনি এখনও অসুস্থ। এ ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট পাইনি। এরই মধ্যে মিজানুর ক্ষমা চেয়ে চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছে।