কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে অগ্রিম অর্থ পরিশোধের ভিত্তিতে অর্ডার করা পণ্য গ্রাহক সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে না পেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারবেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে। এমনকি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বন্ধ করেও দেওয়া হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ই-কমার্স সাইটগুলো নিয়ে সম্প্রতি নানা আলোচনার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে ই-কমার্স সাইটে অগ্রিম অর্থ পরিশোধের ভিত্তিতে লেনদেনে শহরে সর্বোচ্চ পাঁচদিন এবং গ্রামে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, অনলাইনে অগ্রিম অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে শহরে পাঁচ দিনের মধ্যে এবং গ্রামে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনার ব্যত্যয় হলে গ্রাহক ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ দেবেন, তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। আর ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (ই-ক্যাব) জানালে হয়তো তারা অভিযুক্ত কোম্পানিকে ডেকে বলতে পারে। তবে আইনানুগভাবে অন্য কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই। তারা সদস্য হিসেবে কোম্পানিকে সতর্ক করতে পারে।
ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে মনিটরিং ই-কমার্স সাইটগুলোই করবে। আমরা চেষ্টা করবো তাদের রিপোর্ট দিতে। ভোক্তার কোনো অভিযোগ থাকলে তারা সেটি ভোক্তা অধিকারে জানাতে পারেন। আমরা ওভারঅল পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহাকে পাওয়া যায়নি। সংস্থাটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ভোক্তা সাধারণকে নানাভাবে প্রতারিত করার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ জারি করেছে।