এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট থেকেঃ পূর্বের যে কোনো ঝড়ের তুলনায় পূর্ব সুন্দরবনে আম্পানে ক্ষতি হয়েছে খুবই কম। শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে গাছপালা, অবকাঠামো এবং অন্যান্য মিলে আর্থিক মূল্যে ক্ষতির পরিমাণ মাত্র ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯০০ টাকা। ঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বনবিভাগের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের দুই সহকারী বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের জরিপ কমিটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ রিপোর্ট দাখিলের পর সোমবার সকালে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পূর্ব বনবিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবন নিজের বুক পেতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলা করে উপকূলবাসীকে রক্ষা করেছে। যে গতি নিয়ে ঝড় আঘাত করেছে সে তুলনায় সুন্দরবনের ক্ষতি বিগত দিনের ঝড়ের তুলনায় খুবই কম হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, দুই রেঞ্জের তাল, বট, ঝাউ, শিরিশ, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের ২৬ টি গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি গাছের লট। ১৭ টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮ টি কাঠের জেটি, ১৬ টি অফিস, আটটি স্টাফ ব্যারাক, ২১ টি সোলার, ১৬ টি পানির ট্যাঙ্ক, একটি পল্টুন, একটি ওয়াচ টাওয়ার, দুইটি ফুটট্রেইল, একটি হরিণের শেড, একটি ডলফিনের শেড ও দুইটি গোলঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বন অফিসসংলগ্ন বা সৃজিত (প্লান্টেশন) বনের গাছপালা ছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া বনের কোন গাছের ক্ষতি হয়নি। এসব ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ধরা হয়েছে এক কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯০০ টাকা।
গত ২১ মে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন ও চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের পৃথক দুটি জরিপ কমিটি তিনদিন সুন্দরবন পরিদর্শন করে বিভাগীয় দপ্তরে এ রিপোর্ট দাখিল করেন।
ডিএফও জানান, ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে বরাদ্ধ সাপেক্ষে তা মেরামত ও সংস্কার করা হবে।