অবশেষে খুলনা শহরে ইজিবাইক চলাচল করবে লাইসেন্স নিয়ে। ৭ হাজার ৭৯২টি ইজিবাইক পাবে এই লাইসেন্স বা ব্লু বুক।
সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যানা যায়। নগরবাসীর সুশৃংখল যাতায়াতের জন্য ইজিবাইকের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা যানজট নিরসনকল্পে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি / লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আগামী চার অক্টোবর থেকে চার নভেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ওয়ার্ডওয়ারী ইজি বাইকের লাইসেন্স প্রদান করা হবে। ইতপূর্বে যে ৭ হাজার ৭৯২টি আবেদন সঠিক বলে শনাক্ত হয়েছিলো তার ভিতর থেকে যারা। ১০ হাজার টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়েছিলো শুধু মাত্র তারাই পাবে এই লাইসেন্স।
১ থেকে ১৬ নং ওয়ার্ডের লাইসেন্স প্রদান করা হবে খালিশপুর প্রভাতী স্কুল মাঠে এবং ১৭ থেকে ৩১ নং ওয়াার্ডেরে লাইসেন্স প্রদান করা হবে বয়রা বিভাগীয় কমিশনার অফিস মাঠে।
লাইসেন্স প্রাপ্তির সময় ভোটার আইডি কার্ড, দুই কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি, দশ হাজার টাকা পে-অর্ডারের মূল কপি সাথে আনতে হবে। এছাড়াও নির্দিষ্ট দিন ও তারিখে ফিটনেস ইজিবাইকসহ মাঠে হাজির হতে এবং ইজিবাইকের বডি সবুজ ও ছাদ লাল রং সহ ডানপাশে রড দ্বারা বন্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এ বিষয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন জানান, অক্টোবর মাসের চার তারিখ থেকে ইজিবাইক চালকদের ব্লু বুক প্রদান করা হবে। নাম্বার প্লেট আমরা দিব নাকি যার টা সে নিজে লিখে নিবে সেটা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে আপনারা জানতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে আবেদন ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়া শুরু হয়, চলে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শুধু খুলনা মহানগরীর ভোটাররাই এই আবেদন করতে পেরেছেন।
নির্ধারিত সময়ে ৮ হাজার ২২২টি আবেদন ফরম বিতরণ করা হয় এবং জমা পড়ে ৭ হাজার ৮৮৮টি। যাচাই-বাছাই শেষে ৭ হাজার ৭৯২টি আবেদন সঠিক বলে শনাক্ত হয়েছে। বাতিল করা হয় ৯৬টি আবেদন। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই আবেদনগুলো নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে নগরীর সকল ওয়ার্ডের চালকদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকার পে-অর্ডার জমা নেওয়া হয়েছে।