মারজুক রাসেল মাংস খাওয়া ছেড়েছেন দেড় বছর আগে। শুধু মাংসই নয়, ছেড়েছেন মাছ, ডিম,দুধ-সহ যাবতীয় প্রাণীজ খাদ্যদ্রব্য এবং তেল,ঘি,চিজ,মাখন ইত্যাদি।
বিভিন্ন সময়ে এসব খাদ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোকে সামনে এনেছেন মারজুক। তেল ছাড়া রান্নার বিভিন্ন প্রণালীও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন।
ফরমালিন ও কেমিক্যালমুক্ত অরগানিক শাকসবজি,ফলমূল,চাউল,ডাউল ইত্যাদি নানান জায়গা থেকে সংগ্রহ করেন।
বলা যায় একটি হিতকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলছিলেন সময়ের আলোচিত কবি ও অভিনয়শিল্পী মারজুক রাসেল।
তবে তার এই খাদ্যাভ্যাসের ছন্দপতন ঘটালেন নির্মাতা মাইদুল রাকিব। ঈদ উপলক্ষে তার নির্মিত একটি নাটকে গরুর মাংস খেতে হলো মারজুক রাসেলের চরিত্রটিকে ।
কারণ নাটকের নামই ‘গরুর মাংস’। গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে দেড় বছর পরে মুখে গরুর মাংস তুললেন মারজুক রাসেল।
এ প্রসঙ্গে মারজুক রাসেল বলেন, “আমি তথাকথিত ‘ভেজিটেরিয়ান’ বা ‘ভিগান’ হইতে চাই,যাই নাই,‘হোলফুড প্ল্যান্ট-বেজড’ খাবার খাই।
দীর্ঘ ১৭ বছর নানানরকম স্ট্যাডি ও চেষ্টায় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারছি প্রায় দেড় বছর হইলো। যেসব খাদ্য শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেসব এড়ায়া চলি।
মাছ,মাংস, তেল, চর্বি আমাদের শরীর ও পরিবেশের জন্য মোটেও উপকারী নয়। এজন্য আমার খাদ্যাভ্যাস থেকে এসব বাদ দিছি। মাংস খাওয়া ছাড়ছি প্রায় দেড় বছর আগে।
কিন্তু এবার নাটকের জন্য খাইলাম, তাও ওই দৃশ্যধারণ পর্যন্তই। ছাইড়া দেওয়া অনেক কিছুই চরিত্রের প্রয়োজনে আগেও ধরছি, তাও ওই দৃশ্যধারণ পর্যন্তই,যেমন সিগারেট।
আমি ধূমপান করি না। ‘মাছ,মাংস,দুধ,ডিম খান না,ক্ষতিকর বলে প্রচার করেন,নাটকেতো ঠিকই খেলেন!’―ফেসবুকে দেওয়া কোনো পোস্টের এমন কমেন্টে আমার রিপ্লাই ছিল, ‘গল্পে,মুভিতে,নাটকে কাউরে মার্ডার করলে রিয়াললাইফে অভিনেতার কাজ ‘মার্ডার করা’ না।’’
মারজুক রাসেলের এই ত্যাগ বা ডেডিকেশন কিন্তু বৃথা যায়নি। গরুর মাংস নাটকটি দর্শকদের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের ইউটিউব ট্রেন্ডিঙে গত রবিবার এক নম্বর অবস্থান দখল করে নেয়।
গরুর মাংস খাওয়ার লোভকে কেন্দ্র করে বয়ে চলা কাহিনি শেষে এসে কান্নায় ঠেকে। নাটকে আরও অভিনয় করেছেন তামান্না আজমির, চাষী আলম ও তানজিম হাসান অনিক। নাটকটি প্রযোজনা করেছে সিডি চয়েস।
গরুর মাংস ছাড়াও মারজুক রাসেল এবার ঈদে বেশকিছু নাটকে কাজ করেছেন যেগুলোর লুক তাঁকে নাটক মুক্তির আগেই আলোচনায় নিয়ে আসে।
এগুলো হলো মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘আমার অপরাধ কী’, আলোক হাসানের ‘চিলে কোঠার বাদশা’, কাজল আরেফিন অমির ‘মাস্ক’, সহিদ উন নবীর ‘কুফা’, ইমরাউল রাফাতের ‘ বাঘের খাঁচা’, হিমু আকরামের ‘বেদানা বিবির বিন্নি’, নাজমুল রনির ৭ পর্বের ধারাবাহিক ‘কে-কম্পানি’।