খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন আজ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে সুন্দরবনের বহুমাত্রিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফেনার স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোসাইটি আয়োজিত সেমিনারে ‘বাংলাদেশের সুন্দরবন-প্রকৃতির অনন্য উপহার’ শীর্ষক গবেষণা নিবন্ধ তিনি উপস্থাপন করেন। সেখানে অস্ট্রেলিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার ড. দেওয়ান মো. শাহরিয়ার ফিরোজ ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী প্রফেসর পিটার কানোওস্কিসহ বিভিন্ন দেশের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন তাঁর গবেষণা নিবন্ধে জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রবণতায় সুন্দরবন ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। তিনি বিশ্বের ম্যানগ্রোভ রক্ষায় সুন্দরবনের অভিজ্ঞতা ও অভিযোজন কৌশলের দিকটিও যথাযথভাবে তুলে ধরেন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সুন্দরবন বছরে যে পরিমাণ অক্সিজেন উদ্গীরণ করে কার্বন আত্মস্থ করছে তা মানবজাতির জন্য বহুমূল্যবান। এ বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় তিনি গবেষক, বিজ্ঞানী ও দাতা সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। উপাচার্য তাঁর গবেষণা নিবন্ধে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তাঁর এই গবেষণা নিবন্ধ উপস্থিত গবেষকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়। এসময় তিনি সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।
এছাড়া উপাচার্য আজ সকালে রাজধানী ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর) এর প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ওয়েন্ডি আম্বারগারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রফেসর ওয়েন্ডি আম্বারগার সুন্দরবন নিয়ে তাঁর গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ গবেষণা প্রকল্পের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাক্ষাতকালে উপাচার্য এসিআইএআর’র প্রধান নির্বাহীকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন। এসময় এসিআইএআর’র রিসার্চ ফোকাস ম্যানেজার অব ফরেস্ট্রি ড. নোরা ডেভো এবং আইইউসিএন (এশিয়া অঞ্চল) এর সাবেক পরিচালক ড. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।