কয়েক বছর ধরেই কমে গেছে চলচ্চিত্র নির্মাণ। সারা দেশে আশঙ্কাজনক হারে বন্ধ হয়েছে সিনেমা হল। ধারণা করা হয় চলচ্চিত্র শিল্পের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে মহামারী করোনাভাইরাস। তারপরেও নিভুনিভু করে জ্বলছে বিএফডিসির বাতি। অত্যাধুনিক আটটি ডিজিটাল ক্যামেরা আছে এখন এফডিসিতে। এর মধ্যে রেড ড্রাগন আছে দুটি, রেড স্কারলেট এবং সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরা পাঁচটি। তবে এসব ক্যামেরা এখন বেশির ভাগ সময়ই ব্যবহার হয় বিজ্ঞাপন বা টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণের কাজে। এর বড় কারণ, সিনেমার শুটিং কমে যাওয়া। আবারও নিয়মিত শুটিংয়ে ফিরতে প্রযোজকদের ভূমিকা এবং অত্যাধুনিক মানসম্মত ক্যামেরা ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট সময়ের দাবি। এ প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের তরুণ ও সৃজনশীল চিত্রগ্রাহক রনি লিভারের সঙ্গে।
উন্নত আর অত্যাধুনিক মানের ক্যামেরা ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট চেয়ে এই চিত্রগ্রাহক বলেন, “সিনেমাহল নেই বলে যে আমরা সিনেমা বানাবো না, তা হবে না। সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাড়ানোর সুযোগ এখনও আছে। তবে আমাদের শুধু আধুনিক হলে চলবে না, অত্যাধুনিক হতে হবে। পরিবর্তন হতে হবে সমুলে। বর্হিবিশ্বের চলচ্চিত্র শিল্পের চোখে চোখ রাখতে হবে। যেটাকে আমাদের ভাষায় ‘আই কন্টাক্ট’ বলা হয়। সেই আই কন্টাক্ট রাখতে হবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চোখে।”
মানসম্মত দৃশ্য ধারণে এখনও আমরা পিছিয়ে কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দিন দিন আন্তর্জাতিক বাজারে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, ওয়েব কনটেন্টের কদর হু হু করে বাড়ছে। অবশ্যই তা হতে হবে মানসম্মত। এরজন্য চাই উন্নত আর অত্যাধুনিক মানের ক্যামেরা ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট। সনাতন পদ্ধতির শুটিং কনসেপ্ট আর বান্ধাতার আমলের ক্যামেরা সেট-আপ বাদ দিয়ে অজজও অষবীধ এর মতো ক্যামেরা যুক্ত করতে হবে আমাদের বহরে।’
কেন এত টাকা ব্যয় করতে হবে, যেখানে বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থা তলানিতে? এ প্রশ্নের জবাবে রনি লিভার বলেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের কদর এখনও আছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, পাশের দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলা চলচ্চিত্রের কদর আছে। গেল কান চলচ্চিত্র উৎসবে তার চাক্ষুস প্রমাণ কিন্তু আমরা পেয়েছি। আমিও চাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র মাথা উঁচু করে দাড়াক। নিজ হাতে ধারণ করা এক একটি সিনেমা আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা করুক আমিও চাই। আন্তর্জাতিক পর্দায় বাংলাদেশকে দেখাতে চাই অনন্য উচ্চতায়।’