রামপাল উপজেলায় আমন ধানের কারেন্ট পোকা ( বাদামী গাছ ফড়িং) দমনে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আগাম প্রস্তুতিসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এবছর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৯ টি ইউনিয়নে মোট আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৫৫ হেক্টর। কিন্তু লক্ষমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে এ এলাকার প্রায় ৮০ ভাগ ধান পেকে গিয়েছে। বাকী ২০ ভাগ ধান অর্থাৎ প্রায় ১ হাজার ৬ শত হেক্টর জমির আমন উঠতে আরও দেড় মাস সময় লাগবে বলে কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রানী মন্ডল জানান। তিনি জানান, আমনের কারেন্ট পোকা দমনে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি। জনবলের সীমাবদ্ধতার পরও সকলকে নিয়ে কৃষকদের সচেতনতা, লিফলেট বিতরণ, ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, স্কয়ার্ড গঠন, কৃষক সমাবেশ, কীটনাশকের সহজ প্রাপ্যতাসহ নানান উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকদের বলা হয়েছে সবাইকে এক যোগে কীটনাশক স্প্রে করতে। যাতে করে পোকামাকড় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে না পারে। কৃষি অফিস থেকে বীজ ও কীটনাশক ডিলারদের সতর্ক করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে তারা অনুমোদিত ভালোমানের কীটনাশক কৃষকের মাঝে সরবরাহ করেন এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে আমন ধান ঘরে তুলতে পারেন এ জন্য কৃষি দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে উপজেলা প্রশাসন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অসহায় কৃষকদের কীটনাশক ও উপকরণ দিয়ে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।