ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, একটি অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতাকে কৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করে বৈশ্বিক হানাদার শক্তির দৃষ্টি আকর্ষণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঘাদানিকের শ্বেতপত্রকে “গণনাগরিক অবমাননা” অবহিত করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কথিত শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের একধরণের রাখঢাক লুকোচুরি ও মিডিয়াবাজি প্রমাণ করে যে, তারা সারবত্তাহীন অভিযোগ পত্র নিয়ে নাগরিকদের মাঝে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এধরণের দেশ ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ আজ ভালো নেই, সাধারণ মানুষ তাদের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ করতে পারছেনা কারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, গ্যাস সহ সকল নির্মাণসামগ্রী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। অথচ সরকার এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকার এ ব্যপারে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে কিন্তু প্রতিবাদও করতে পারছে না হামলা-মামলা ও হয়রানির ভয়ে, এগুলো নিরবে সহ্য করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৫১ তম বর্ষে এসেও আজকের সরকার ৭১ পূর্ববর্তী সরকারের মতো, নিপিড়নমূলক আচরণ করছে। দেশের সাধারণ নাগরিকদের কোন অধিকার ও সম্মান নেই। সকল অধিকার ভোগ করছে ক্ষমতাসীন এবং তাদের দোসররা। অথচ স্বাধীনতা উত্তর দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, স্বাধীন দেশে তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাবে, সম্মান পাবে। বাক স্বাধীনতা পাবে, ন্যায়বিচার পাবে। জান-মাল, ইজ্জত-আক্রর এবং জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। অর্থনৈতিক সাম্য ও রুটি রুজির নিশ্চয়তা পাবে। একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পাবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যারাই ক্ষমতায় এসেছে, সবাই জনগণের স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যা করেছে। সবাই জনগণের সাথে অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। গণ-মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশ শাসনের নামে জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। জনগণের সকল মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করেছে। গণতন্ত্রের নামে সর্বত্র দলীয়করণ এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। শুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। দুর্নীতি, লুটপাট এবং সুদ ও ঘুখকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। শাসক শ্রেণীর এহেন কর্মকান্ডের ফলে স্বাধীনতা আজ অর্থহীন হয়ে পড়েছে। গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। জাতিকে নেশাগ্রস্থ করতে মদের বিধিমালা প্রণয়ন করতে সরকার ও তাদের দোসররা মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশ আর এভাবে চলতে পারে না।
আজ শনিবার(২১ মে) দুপুর ২টায় খুলনা রেলস্টেশন সংলগ্ন কদমতলা রোডে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের সম্মানিত ১১৬ জন আলেম, ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের প্রতিবাদ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা-সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ । ও মানবতাবিরোধী মনের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা বিভাগের উদ্যোগে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব ও মুফতি ইমরান হোসেনের পরিচালনায় আরো
বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মোস্তফা কামাল, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারী জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, হাফেজ মোস্তাক আহমেদ, মাওঃ রফিকুর রহমান, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহহিয়া, মাওঃ জিহাদুল ইসলাম, মাওঃ আলী আহমদ, মুফতি ওসমান গনি মুছাপুরি, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মারুফ, ড: কেএম আল-আমিন এহসান, এইচএম সাইফুল ইসলাম, মুফতী আমানুল্লাহ, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম, মাওলানা তাসনীম, ডা. কাজী ওয়ায়েস কুরনী, হা. মনিরুজ্জামান, মুহা. আইউব আলী মিয়া, হাসানুজ্জামান সজিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমাদ আলী, ডা. এইচ এম মোমতাজুল করিম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, আল: আব্দুল হালীম, আলঃ শামসুদ্দিন মোল্লা, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আবু সাইদ শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, আলহাজ্ব মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মুফতী রবিউল ইসলাম রাফে, মাওলানা শাইখুল ইসলাম বিন হাসান, আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, মুহা. মেহেদী হাসান, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মুহা. সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদি, মুফতী আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ নোমান, গাজী ফেরদাউস সুমন, মাওলানা হারুন অর রশিদ, মাওলানা এস.কে নাজমুল হাসান, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, মুহা. মইনউদ্দিন, ইনামুল হাসান সাইদ, আলঃ আমজাদ হোসেন, হাফেজ আ: লতিফ, আলঃ আবু তাহের, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, ফরহাদ মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিজাম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা হাফিজুর রহমান, হায়দার আলী, মুহা. ইমরান হোসেন মিয়া, গাজী মুরাদ হোসেন, মুফতী হেলাল উদ্দিন শিকারী মাওলানা মাহবুবুর রহমান মুফতী ফজলুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।