হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শফীর মৃত্যু ও মৃত্যুপরবর্তী তার পরিবারের দায়ের করা মামলার ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, কেউ চাইলে কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। তবে আল্লামা শফীর মৃত্যুর পরে দায়ের করা মামলা যেহেতু আইনের আওতায় চলে গেছে, তা আইনের আওতায় যারা আছেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকরা হঠাৎ মাদ্রাসা পরিদর্শনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা পরিদর্শনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল আল্লামা শফীর কবর জিয়ারত করা। তাছাড়া বাংলাদেশে আমাদের মধ্যে যাতে সম্প্রীতি বজায় থাকে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা যেন ইসলাম ও ধর্ম এ দুইটা জিনিস যাতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা অনুসরণ করতে পারি। এছাড়া ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও যাতে শান্তিতে থাকতে পারে।
মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (হজ) আবদুল হামিদ জামারদার, ইসলামী ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত ডিজি ফারুক আহমদ, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক আবুল আহসান মো. বোরহান উদ্দিন, উপ-পরিচালক মো.সেলিম উদ্দিন ও সহকারী পরিচালক মো.মনিরুজ্জামান।
এ সময় হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও হেফাজত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা আহমদ দিদার, মুফতি হুমায়ুন কবির, মুফতি আবু সাইদ, মাওলানা নুরুল আবছার আল আজহারী, আনোয়ার শাহ আল আজহারী এবং মাওলানা শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছেন। এরপর তিনি মাদ্রাসায় প্রবেশের পর হেফাজতের সাবেক আমীর প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফীর কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি মাদ্রাসার বড় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।