চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ নতুন করে গতকাল খুলনা জেলায় ১৪ জন এবং মহানগরীতে ১৩জনের করোনাভাইরাস(কোভিড-১৯) সনাক্ত হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গতকাল ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা শেষে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। খুলনার সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল খুলনা ল্যাবে মোট ৩৭জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা মহানগরীসহ জেলার ২৯জন থাকলেও দু’জনের পুন:সনাক্ত হয়েছে। যারা খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকী আট জনের মধ্যে যশোরে চারজন, সাতক্ষীরার একজন, বাগেরহাটের দু’জন এবং নড়াইলের একজন রয়েছেন।
গতকাল সনাক্ত হওয়াদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দারা হলেন, মিস্ত্রিপাড়ার শেখ মো: শহিদুল আলম(৪৫), আভা সেন্টারের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানরত মো: আবু রায়হান(২৩), বাগমারা মেইন রোডের মনোয়ারা(৪৫), ফারাজীপাড়ার মো: আমজাদ হোসাইন(৬৫), ছোট বয়রার ডা: মো: নূরুল হুদা(৩৩), শেখপাড়ার এসএম সাইদুর রহমান(৫১), খালিশপুরের এম শহিদুল ইসলাম(৪৬), রনজিত মন্ডল(৫০) ও সোহেল মল্লিক(২৮), বকশীপাড়ার শারমিন আব্বাস কনা(২৭), আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের সুজন সমাদ্দার ও মামুন মুন্সী, টুটপাড়ার লালু আকতার(৬৫) এবং জেলার আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভীন সুলতানা(৩৫), ফুলতলার বীরেরডাঙ্গার বাসিন্দা মো: আসাদুজ্জামান(৫৩), তেরখাদার চরকুশুলার ফরিদুর রহমান(৪২) ও জোবায়ের হোসাইন, দিঘলিয়ার বারাকপুরের মো: মইন শেখ(৪০), সেনহাটির অহিদুল ইসলাম(৬০), রূপসার দেয়ারার বেল্লাল তালুকদার(৩৮), পাইকগাছার বাতিখালির সেলিম নেওয়াজ(৪২) ও কপিলমুনির প্রসেনজিত মন্ডল(২৫) দাকোপের আমতলার হিমাদ্রি মন্ডল(৩০), বাজুয়ার তুহিন মির্জা(৪৬) ও সুরাইয়া খাতুন(১১)।
উপসর্গে আরও একজনের মৃত্যু ঃ এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আবুল হোসেন (৭০) নামের পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক এসআইয়ের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারের মুখপাত্র ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, জ্বর ও শাসকষ্ট নিয়ে রোববার বেলা ৩টার ৪০ মিনিটের দিকে আবুল হোসেনকে হাসপাতালের সাসপেকটেড আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
আবুল হোসেন মহানগরীর খালিশপুর হাউজিংয়ের মৃত হাতেম শেখের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এসআই আবুল হোসেন সর্বশেষ খুলনা ডিআইজি অফিসে কর্মরত ছিলেন।