চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। পরিস্থিতি মোকবেলায় দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আর সেই অবস্থার মধ্যে ইতালির ভেনেতো রিজিওন থেকে ভেনিস এয়ারপোর্ট হয়ে এমিরাত এয়ারলাইনসের শেষ ফ্লাইট যোগে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন শতাধিক বাংলাদেশি।
ওই বাংলাদেশিরা শুক্রবার রাতে রওনা দেন বলে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। ইতালি থেকে আসা ফ্লাইটটি দুবাই হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এমিরাত এয়ারলাইনসের দুবাই-ঢাকা ফ্লাইটের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার ফ্লাইট রয়েছে তিনটি। EK 582 ফ্লাইটটি ছাড়বে রাত ১:৪৫ এ, সকাল ৮:১০ এ এসে পৌঁছাবে। EK 586 ফ্লাইটটি ছাড়বে সকাল ১০:৩০ এ ছেড়ে ৪:৫৫ এ পৌঁছাবে। EK 584 ফ্লাইটটি ছাড়বে বিকাল ৪:৪৫ এ, রাত ১১:০০ পৌঁছাবে।
এদিকে ফেসবুকে অনেকে আশঙ্কা ব্যক্ত করে লিখছেন, ইতালিফেরত এই প্রবাসীদের কোয়ারেন্টাইন-এ নাও নেয়া হতে পারে। ইতিমধ্যে তারা দেশে এসে যার যার বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়েছেন এমনও দাবি করছেন কেউ কেউ।
এদিকে এ বিষয়ে কামরুল হাসান মামুন নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, এবার যদি সত্যি সত্যি সরকার আন্তর্জাতিক মানের কোয়ান্টেইন না করে তাহলে ডিসেস্টর হওয়ার সম্ভবনা দেখছি। এটা খুব সিরিয়াস ব্যাপার।’
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক বলেন, ইতালিফেরত এই প্রবাসীরা যার যার বাড়ি চলে গেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তারা সম্ভবত পৌঁছাননি এ তথ্য দিলে তিনি বলেন, তাইলে তো আরো ভাল। কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যম সূত্রে জেনে কোয়ারেন্টাইন এখন হয়তো নিশ্চিত করবে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি আরো বলেন, এই মানুষগুলার কি নিজেদের পরিবার পরিজনের প্রতি মায়া নাই? দেশের মানুষজনের প্রতি মায়া নাই। ওই রকম একটি উন্নত চিকিৎসার দেশ ছেড়ে ওখান থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে আসার কোন মানে হয়?
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতালি সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরও মৃত্যু বেড়েই চলেছে।শুক্রবার একদিনেই মারা গেছেন ২৫০ জন। এদিন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪৭। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ২৬৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৬০ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন আছেন ১৪ হাজার ৯৫৫ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি গৃহবন্দী। ফলে জরুরি অবস্থায় বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গোটা ইতালি থমকে আছে। অর্থনৈতিক চরম ক্ষতির দিকে। নতুন করে কোনো পর্যটক ইতালিতে প্রবেশ করতে পারছে না। সরকার থেকে নির্দেশনা ঘর থেকে বাইরে কেউ যেন না যায় অতি প্রয়োজন ছাড়া।