ক্রীড়া ডেস্কঃঅ্যাডিলেডে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস হার এড়াতে লড়ছে সফরকারী পাকিস্তান। দিবারাত্রির এ টেস্টে ইনিংস হার এড়াতে শেষ দুই দিনে পাকিস্তানকে আরও ২৪৮ রান করতে হবে।প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ৩০২ রানে অলআউট করে ২৮৭ রানের বিশাল লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। ফলে সফরকারীদের ফলোঅন করানোর সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। ২০ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় তারা। বৃষ্টির কারণে পুরো সেশন খেলা না হওয়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তুলে দিন শেষ করে আজহার আলীর দল। হ্যাজেলউড নেন দুই উইকেট, বাকি এক উইকেট যায় স্টার্কের ঝুলিতে। ইনিংস হার এড়াতে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শান মাসুদ ও আজহার আলী।
এর আগে, অ্যাডিলেডে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৮ রানেই ওপেনার জো বার্ন্সকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপরই দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লেবুশেইনি। এ দুইজন গড়ে তোলেন ৩৬১ রানের বিশাল জুটি। ১৬২ রান করে আউট হন লেবুশেইনি। তবে একপাশে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন ওয়ার্নার। একাধিক রেকর্ড গড়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়ার্নার। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৩৫ রানে। ৩ উইকেটে ৫৮৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের পক্ষে তিনটি উইকেটই শিকার করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় তিন রানেই আউট হন ইমাম উল হক। স্টার্কের বলে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমাম। এরপর দলীয় ২২ রানে পাক শিবিরে আবারও আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স। অধিনায়ক আজহার আলীকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। এরপর ৩৮ রানে শান মাসুদকে আউট করেন হ্যাজেলউড। স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান তুলতেই আরও তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে পাকিস্তান।
তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান বাবর ও ইয়াসির। বাবর আজম মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। ব্যক্তিগত ৯৭ রান করে স্টার্কের গতিতে পরাস্ত হয়ে টিম পেইনের তালুবন্দি হয়ে ফিরে যান তিনি। তবে দারুণ ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বোলার ইয়াসির শাহ। মোহাম্মদ আব্বাসের সঙ্গে অষ্টম উইকেট জুটিতে তোলেন ৮৭ রান। ইয়াসির ১১৩ রান করলেও সেটা ফলোঅন এড়াতে যথেষ্ট ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২৮৭ রান পিছিয়ে থেকে ৩০২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ৬৬ রান খরচায় ৬ উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক।