অনলাইন ডেস্কঃপবিত্র ঈদ-উল-আজহার ছুটিকে সামনে রেখে ভারতে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। ভিসার সহজলভ্যতা ও কম খরচের কারণে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ কাটাতে ভারত যাচ্ছেন। তাই বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
সরেজমিনে শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রচুর ভিড়। নিরাপত্তা দান ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এছাড়া সকাল ৭টা থেকেই বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সারাদিনই যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে চেকপোস্ট এলাকায় সকাল থেকেই প্রচণ্ড ভিড় থাকায় পাসপোর্টযাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। যারা লাইনে পরে আসছে তারা এখানকার কিছু অসাধু আনসার সদস্যদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে আগে চলে যাচ্ছে। ফলে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী অমল বোস বলেন, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এর আগে কোনোদিন এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি।
ঢাকা থেকে আসা ক্যান্সার রোগী আমেনা খাতুন বলেন, আমার রোগের পরিচয় এবং ক্যান্সার কার্ড দেখালেও আনছার সদস্যরা আমাকে প্রবেশ করতে দেয়নি। অথচ আমার পিছনে থাকা যাত্রীদের টাকার বিনিময়ে লাইন থেকে নিয়ে আগে ভেতরে ঢোকানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই মাস ধরে এরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে। এর আগে এর চেয়ে দ্বিগুণ লোক ভারতে প্রবেশ করলেও এরকম লাইনের সৃষ্টি হয়নি।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা থেকে এসবি আসছে এরকম দোহাই দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। পাসপোর্ট যাত্রীরা যেভাবে দ্রুত তাদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে যেতে পারবে সে ব্যবস্থা করা উচিত। আগে যেভাবে পাসপোর্টযাত্রীরা ভারতে যাতায়াত করতো তাতে কোনো ঝামেলা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ভোগাচ্ছে।
এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে ৪৫ টাকা টার্মিনাল চার্জ নিলেও তাদের দিতে পারছে না বসার স্থান। মাত্র ৫০ জনের সিট রয়েছে টার্মিনালের ভেতরে। অথচ এ পথে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেন। যাত্রীরা টার্মিনাল চার্জ দিয়ে বাইরে রোদ বৃষ্টিতে ভিজছে। সব মিলিয়ে বেনাপোল চেকপোস্টে অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার বলেন, ঈদের ছুটিতে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। যাত্রীদের সেবায় আমাদের ডেস্ক একটানা কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ফকির শহিদুল ইসলাম
সম্পাদনায়