চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃরাজধানীসহ সারা দেশের কাঁচাবাজারে সব থেকে বেশি দামের পণ্যের তালিকায় পেঁয়াজ সবার ওপরে রয়েছে। কয়েক দফায় দাম বেড়ে বর্তমানে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা। এ দামের মধ্যে রয়েছে দেশি, মিয়ানমার, চীন ও মিশরের পেঁয়াজ। তবে দেশি পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ১০০ টাকা থেকে বেড়ে এক কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ২৮০ টাকায় পৌঁছেছে। তবে দেশের অধিকাংশ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকার মধ্যে। এমন অবস্থায় সরকার পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে কার্গো বিমানে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে বিমানে করে পেঁয়াজ আনা শুরু হবে।তুরস্ক থেকে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আনবে টিসিবি। অপর দিকে বেসরকারি খাতের এস আলম গ্রুপ আনবে মিশর থেকে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন বিষয়টি জানান।বাণিজ্য সচিব বলেন, বাজার যত দিন স্বাভাবিক না হবে, তত দিন এয়ার কার্গোতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনা হবে। সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে তুরস্কে একজন উপসচিবকে পাঠানো হচ্ছে। পেঁয়াজ আনার ব্যাপারে এরইমধ্যে একজন উপসচিব মিশরে অবস্থান করছেন।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরাসরি তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিশর থেকে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কার্গো উড়োজাহাজ যোগে পেঁয়াজ আমদানি করবে। এরইমধ্যে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে প্রবেশ করবে। এছাড়া সমুদ্র পথে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশের পথে আছে। পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় এ চালান শিগগিরই দেশে পৌঁছাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। কেউ অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুত করলে, বেশি মুনাফার জন্য কারসাজির চেষ্টা করলে অথবা অন্য যে কোনো উপায়ে বাজারে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনিভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।