খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন জন চিকিৎসক করোনা পজেটিভ। তারা কেউ করোনাযোদ্ধা ছিলেন না। খুলনা করোনা হাসপাতাল, ফ্লু কর্নার বা করোনা সাসপেক্টটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে কখনো দায়িত্ব পালন করেননি। করোনা আমদানি করে এনে চরম সংকটে ফেলেছেন স্বাস্থ্য বিভাগকে। দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন হলে যা হয়।
করোনা আক্রান্তরা হলেন -খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোন্ট্রোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ রনজিৎ কুমার, শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ওমর খালেদ ফয়সাল ও ইউরোলজি বিভাগের ডাঃ মাসুদ আহমেদ।
দৃশ্যপট -১
করোনা সাসপেক্টটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি রোস্টারে নাম দেখে একজন চিকিৎসক ভড়কে গেলেন। তার মুখে আতঙ্কের ছাপ। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আরতি -আমার দুটি সন্তান। আমি তাদের দেখাশোনা করি। স্বামী খুলনার বাইরে থাকেন। আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে কি হবে আমার সন্তানদের। ‘যেসব সন্তানের মা-বাবা থাকে না, তাদের সন্তান অনেক সময় ভালোভাবে মানুষ হয়’। আমার দিকে তাকিয়ে ওই কর্মকর্তার জবাব। আমি স্ট্যাচু থাকলাম।
দৃশ্যপট-২
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক মাসুদ আহমেদকে ফোন করলেন তার কলিগ। ভুল করলে মাফ করে দিও’, বলেই ওপার থেকে কেটে দিলেন ডাঃ মাসুদ। তিনি খুলনা করোনা হাসপাতালের প্রথম রোগী।
চিকিৎসক ও হাসপাতাল অন্দরের খবর যদি এই হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
আশার কথাঃ দিনের একটি বড় অংশ চিকিৎসকদের সাথে থেকে বুঝলাম ডাঃ মাসুদের শরীর থেকে করোনা ভাইরাস নামাতে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা গাইড অনুসরণ করা হচ্ছে। খুলনার প্রথম করোনা রোগী করিমনগরের একজন ব্যাংকার। তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করায় অনেক সমালোচনা পোহাতে হয় কর্তৃপক্ষকে। চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয় বলে অনেকের ধারণা। তবে এখন চিকিৎসক ভর্তি হওয়ায় ভীতিকর অবস্থা কেটে যাবে বলে বিশ্বাস দায়িত্বশীলদের।
আতিয়ার পারভেজ
সংবাদকর্মী