নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, একটা দুশ্চরিত্র– মাদক সম্রাটকে আপনি প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কেউ না থাকলে আমি আবদুল কাদের মির্জা রাস্তায় একা থাকব। প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করব।
সোমবার রাত ৮টায় বসুরহাট বাজারের রুপালি চত্বরে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি নেতার কথা বলব না, উনি কোনো রকমের কথাবার্তা বলছেন না। আমি আজ স্পষ্ট ভাষায় বলব– আপনারা কী জানেন আমি রাজাকারের সন্তান? ওবায়দুল কাদের সাহেব উনি বড় নেতা। উনি ওনার দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে কোনভাবে নিয়েছেন, আমি জানি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিবাদ করতে দিচ্ছেন না, আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছেন না। রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। আমি কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। আমি কারও খাই না কারও পরিও না। আমরা কি কথা বলতে পারব না? থামিয়ে দেবেন? থামিয়ে দিতে পারবেন না।
কাদের মির্জা বলেন, একরাম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। নোয়াখালী আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটি বাতিল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একরাম চৌধুরীকে নোয়াখালীতে টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, লুটপাট করছে। আমাদের ত্যাগী কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। কেউ কি দেখার নেই। আগামী ৩১ জানুয়ারি রোববার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আধাবেলা কোম্পানীগঞ্জের সর্বত্র হরতাল। এবং এই হরতালের পরও যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, আমরা ঢাকাভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করব।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব তাকে ক্ষমা করতে পারে। বারবার উনার ক্ষমার কারণে তিনি এতবড় ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন– ওবায়দুল কাদেরের গালে গালে, জুতা মার তালে তালে। এই স্লোগান কে দিয়েছিল নোয়াখালী অফিসের সামনে? একরামুল করিম চৌধুরী দিছে না? তার পরেও ওবায়দুল কাদের সাহেবকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে একরামুল কাদের চৌধুরী। করে নাই? আমাকেও গালিগালাজ করেছে। আমি বাড়িতে ভাত খেতে বসেছি, সে আমাকে মোবাইলে গালিগালাজ করেছে। আমি উত্তর দিয়েছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমুখ।