মিয়ানমারের পুলিশ এবং সেনা চিকিৎসকদেরও আক্রমণ করছে বলে অভিযোগ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে চিকিৎসকদের মোবাইল হেলথ ভ্যান লক্ষ করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকদের অভিযোগ, জায়গায় জায়গায় রাস্তা বন্ধ করে মোবাইল হেলথ ভ্যান আটকে দেওয়া হচ্ছে। যাতে চিকিৎসকরা আহত বিক্ষোভকারীদের কাছে না পৌঁছাতে পারে।
বহু কম বয়সী ডাক্তার বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তবে তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না। বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। তাদের দাবি, সবচেয়ে বেশি রোগী আসছেন মাথায় আঘাত নিয়ে। কারণ, ব্যাটন দিয়ে মারার সময় পুলিশ এবং সেনা বিক্ষোভকারীদের মাথায় আঘাত করছে। একই সঙ্গে রাবার বুলেটের ক্ষত নিয়েও বহু বিক্ষোভকারী চিকিৎসা করাচ্ছেন।
হাসপাতালের আউটডোরগুলি ভরে থাকছে বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে। এছাড়াও বহু চিকিৎসক মোবাইল ভ্যান নিয়ে বিক্ষোভস্থলে চলে যাচ্ছেন। ঘটনাস্থলেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন তারা। কিন্তু তাতেও আহত চিকিৎসা পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না বলে তাদের দাবি। বহু ক্ষেত্রে গুরুতর আহতদের চিকিৎসা করতে না দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ। সেনা এবং পুলিশ হাসপাতালে গিয়েও তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করে। সু চি সহ ৪০ জন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র এবং যুব সমাজ। তাদের বক্তব্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারের সকলকে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু সেনা তা মানতে রাজি নয়। আপাতত এক বছর সেনা শাসনক্ষমতা হাতে রাখতে চায়। তা নিয়েই তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেনা নির্বিচারে আক্রমণ করছে বিক্ষোভকারীদের। গত রোববার সেনার গুলিতে ১৮ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। তারপর পরিস্থিতি আরো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। দেশের এক-তৃতীয়াংশ সরকারি কর্মী হরতাল শুরু করেছেন। চিকিৎসকরাও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। সে কারণেই তাদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ।