খুলনা অফিসঃপ্রি-পেইড মিটারের বিরুদ্ধে নয়, এই আন্দোলন ওজোপাডিকোর দুর্নীতি ও অনিয়ময়ের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন । যখন বর্তমান সরকার গ্রাহক আঙ্গিনায় নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছে, ঠিক সেই মূহুর্তে ওজোপাডিকোর কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন চক্রান্ত করছে। সরকারকে নানাভাবে বিপাকে ফেলে, ফয়দা লুটতে চেষ্টা করছে। গ্রাহকদের ফ্রি মিটার দেয়ার কথা বলে মিটার ভাড়া আদায়, আগের পোষ্ট পেইড মিটারের দায়ভার, সফটওয়ার জটিলতার কারণে বিল বেশি আসা, মিটারে সমস্যা দেখা দিলে সংস্কারের ব্যবস্থা না থাকা, প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের পাশাপাশি পোষ্ট পেইডেরও বিল দেয়া, বিইআরসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে দু’বছর ১% রিবেট না দিয়ে দু’কোটি টাকা কোম্পানীর কাছে রাখা, বেসপ্লেট নষ্ট হওয়ার দোহাই দিয়ে মিটার লক করা, আবার মিটার বাইপাসের কথা বলে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা। এসবের সাথে সরকারের সিদ্ধান্তের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা চাই সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে নয়, গ্রাহকদের সেবা দিয়ে জনগনকে সম্পৃক্ত করুক ওজোপাডিকো। কোম্পানীর লক্ষ্য হচ্ছে সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানী সরবরাহ করা। সেই লক্ষ্যে ওজোপাডিকো কাজ করুক এমন প্রত্যাশা সংগ্রাম কমিটির। প্রি-পেইড মিটারে অস্বচ্ছতা এবং দুর্নীতি-অনিয়মের ব্যাপারে ছয় মাসের সময় চেয়ে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড-ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রমাণ করেছেন পদ্মার এপারের একুশ জেলার গ্রাহকদের যে অসন্তোষ তৈরী হয়েছে তা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নয়- তাদের দুর্নীতির জন্য হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে দৈনিক সময়ের খবরের সম্পাদক মো: তরিকুল ইসলামের সাথে মতবিনিময়কালে সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন ।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বার্তা সম্পাদক মাসুদুর রহমান রানা, মফস্বল সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ, সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন, মফিজুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, এইচ এম আলাউদ্দিন প্রমুখ।