বিনোদন ডেস্কঃচিত্র, শিল্পী ও কবি সাহিত্যিকদের তাড়নার কেন্দ্র বিন্দু একই হতে পারে। তবে সেই বিষয়টি প্রকাশে কবি কবিতার আশ্রয় নেয়। শব্দে-শব্দে সৃষ্টি করেন ভাবনার প্রকাশমানতা। সাহিত্যিক ও এর ব্যতিক্রম নয়। চিত্র শিল্পী বর্ণে-ছন্দের মিলন ঘটান, কাগজে বা ক্যানভাসে। শিল্পের যেকোন শাখায় বিচরন করা আত্মার ভিতরের প্রেরনার দরকার হয়। না হলে শিল্প শুধু কর্ম হবে, শিল্প হবে না।শামসেত তাবরেজীর কথা বলছি। যিনি একজন সফল কবি ও সাহিত্যিক। তার কবিতায় আমরা বাস্তবতার যে বর্ণনা পাই তা যেন সমালোচনার মাত্রা অতিক্রম করে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন। সময় গড়িয়ে কবি সম্যতা দেন রং-তুলিতে।
তিনি ছবি আঁকেন ও কবিতা লেখেন। এ দুয়ের মাঝে যে মধুর সম্পর্ক সৃষ্টি করেন, তা না দেখলে অনুভব হবে না। তার ছবিতে আমরা যে গতিময় ও রেখাধর্মীতার ছাপ পাই তা নান্দনিক ও সংযত। কবিতা যেমন মূর্ত থেকে ক্রমান্বয়ে বিমূর্ততায় ধাবিত হয় তেমনি তার চিত্রকর্মগুলোও।
মুহূর্তমা শিরোনামে শিল্পীর একক প্রদর্শনী চলছে। শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানলাম তার নিয়মিত একেঁ যাওয়া চিত্ররাশির এখানে কয়েকটা মাত্রা। কবিতায় যেমন শব্দপুঞ্জি কড়া নেড়ে মনের উদ্বেগ ঘটায়, দৃশ্য শিল্পেও তেমনি। শিল্পী শামসেতের একটি চিত্র শেষ করতে বেশি সময় না নেওয়ায় চিত্র স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বাধীনতার রেখার প্রলয়নেয় ছাপ পাই।
শিল্পী এখানে এক্রেলিক রং ও প্যাস্টেল রং ব্যবহার করে কাগজে ও ক্যানভাসে কাজ করেছেন। কোনো সিরিজ চিত্রকর্ম নয়; এক একটি চিত্র যেন আলাদা করে গল্প ও ছন্দ প্রকাশ করছে। টেমপল, রপটাপ, স্টেরি টোলিং, কাপলস অববাড়, ম্যাকনিকাল ইপিসোড ইত্যাদি তাঁর কয়েকটি চিত্রকর্ম।
শিল্পী কবি শামসেত তার কাজের বিষয় বলেন, ‘আমার ছবি এই ইশারাকে শিল্পমান্য মনে করে গড়ে ওঠায় আলাদা করে। শিল্প বলে যে বুর্জোয়া ধারণা আছে, তার প্রতি আমরা ইমান নেই। আমি ছবি জ্যামিতি, সঙ্গীত, কবিতা সমুহকে মানুষের তাবৎ দেখ-নিগুঢ়তা ‘হাওয়া’ হয়ে ওঠার কাব্য বলে মনে করি।’
দ্বীপ গ্যালারীতে মুহূর্তমা শিরোনামে এই প্রদশর্নী চলবে আগামী ২২ আগষ্ট পর্যন্ত। দর্শনাথীদের জন্য প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্যালারী খোলা থাকবে। সোমবার বন্ধ।
স্থান : দ্বীপ গ্যালারী, ১/১, ব্লক-ডি, লালমাটিয়া (বেঙ্গল বইয়ের পাশের বাড়ি), ঢাকা।