অনলাইন ডেস্কঃযমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমতে শুরু করলেও ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।তীব্র স্রোতের স্কাউরিংয়ের কারণে রবিবার (২৭ জুলাই) রাতে এনায়েতপুর থানার বেতিল স্পার বাঁধ-১ প্রায় ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে।এ কারণে স্পার সংলগ্ন সিরাজগঞ্জ ভেটেরিনারি কলেজ ও মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটসহ বহু তাঁত কারখানা ও অসংখ্য ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়ে আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় জনগণ। এছাড়াও এনায়েতপুর ব্রাহ্মণ গ্রামে গত তিনদিনে ভাঙনে প্রায় ১০-১২টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র স্রোতের কারণে চৌহালীর খাসকাউলিয়াসহ যমুনার কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে।অন্যদিকে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় বন্যা কবলিতরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। বন্যায় বসতভিটা ভেঙে যাওয়ায় বন্যা কবলিতরা চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। এবার বন্যায় জেলার প্রায় ৫০ হাজার বসতভিটার ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ২২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ১০ হাজারের অধিক তাঁত নষ্ট হয়ে গেছে। আর পানি বাহিত নানা রোগে ভুগছে বন্যা কবলিতরা। আয় রোজগার না থাকায় শিশু খাদ্য নিয়েও চরম কষ্টে রয়েছে পরিবার গুলো। এ অবস্থায় বন্যা কবলিতরা বসতভিটা ও ফসলের ক্ষতিপূরণসহ ওষুধ ও শুকনো খাবারের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় প্রবল স্রোতের কারণে স্কাউয়ারিংয়ের ফলে বাঁধের ৫০ মিটার এলাকার মাটি সরে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে, আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ জানান, ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।