বর্তমান বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার অস্বস্তি হ্রাস এবং কর পরিশোধে আগ্রহী মানুরে সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে চার লক্ষ টাকায় পুন নির্ধারণ করা উচিৎ মর্মে উল্লেখ করেছেন বিএইচবিএফসি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট এ হিসাব বিজ্ঞানী গত ১৮ জুন ‘ অর্থ বিল ২০২২: আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমে আনীত পরিবর্তনসমূহ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারেন এ কথা বলেন। ওয়েবিনারে তিনি কর্পোরেট কর হার কমানো প্রসঙ্গে বিশেষ তহবিলে অর্থ স্থানান্তর এবং ওয়ার্কার প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে অর্থের যোগানকে ব্যবসায়িক খরচ না দেখানোর বিধান পুনবিবেচনারও অনুরোধ করেন। এসময় তিনি অর্থবিলের সমুদয় পরিবর্তন বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ববোর্ড এবং কাস্টমকে সয়ংক্রিয় করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন। একই সাথে তিনি এ বিলের পরিবর্তনসমূহ ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নে প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউটিং ফার্ম ‘এলএসএফ এন্ড কোং’-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহমান খান, এফসিএমএ অন্যতম আলোচক হিসেবে বিশেষজ্ঞ মতামত ব্যক্ত করেন। রবির-এর সাবেক সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ’র সঞ্চালনায় উক্ত ওয়েবিনারে ভ্যাট ও কাস্টমস বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব মশিউর রহমান। আয়কর বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এইচ এম মাইনুদ্দিন আহমেদ। ওয়েবিনারে আইসিএমএবি’র প্রায় ২৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।