করাচি টেস্টে ৭ উইকেটে জয় পেল পাকিস্তান। পাক স্পিনারদের ঘূর্ণিজাদুতে কুপোকাত হয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা।নুমান-ইয়াসিরের ঘূণিজালে আটকা পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানেই ৭ উইকেট হারায় দ. আফ্রিকা।ফলে মাত্র ৮৭ রান লিড ছুড়ে দিতে পারে স্বাগতিকদের। আর এ মামুলি লিড অনায়াসেই পার করে দেয় পাকিস্তান।
যদিও ৮৭ রান করতে ৩ উইকেট খুঁইয়েছে পাকিস্তান।
দুই ওপেনার ইমরান বাট (১২) ও আবিদ আলীকে (১০) দ্রুতই আউট করে দেন এনকি নর্টজ। অধিনায়ক বাবর আজমও ৩০ রান করে মহারাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলী আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি। ৪৭ বলে ৩১ রান করে জয় নিয়ে মাঠে ছাড়েন আজহার। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ফাওয়াদ আলম বল পেয়েছেন মাত্র ৪টি। চার বলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের দেওয়া ১৫৮ রানের লিডকে সামনে রেখে ব্যাট করতে নামে দ. আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে সেই লিডকে অতিক্রম করতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার দিনশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৮৭ রান জমা করে সফরকারী দল। শুক্রবার দিনের শুরুতে ২৯ রানের লিড নিয়ে ব্যাট হাতে নামেন কুইন্টন ডি কক ও কেশভ মহারাজ।
দেখার বিষয় ছিল এটিই– বাকি ৬ উইকেটে লিড কতদূর বাড়িয়ে নিতে পারেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। তবে প্রোটিয়াদের লিড বেশি বড় করতে দেননি পাক স্পিনাররা। নুমান আলী ও ইয়াসির শাহের ঘূর্ণি বলে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ জয় পেতে পাকিস্তানকে মাত্র ৮৮ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় প্রোটিয়ারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান এসেছে ওপেনার এইডেন মার্করামের ব্যাট থেকে। নুমান আলীর শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২২৪ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। ওয়ান ডাউনের নামা রসি ভ্যান ডার ডুসেন করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান। তাকে ফিরিয়েছেন ইয়াসির শাহ।
এর পর মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান তেম্বা বাভুমা ছাড়া আর কেউ পাক বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। নুমান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তেম্বার করেছেন ৪০ রান। বাকি সবার স্কোর অনেকটা টেলিফোন ইন্ডেস্কের মতো। পাক বোলারদের তোপের মুখে তারা শুধু আসছেন আর গেছেন।
আজ পাক বোলারদের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সফল সিন্ধুপ্রদেশের বাঁহাতি অর্থডক্স বোলার নুমান আলী। ৩৪ বছর বয়সী এ স্পিনার ২৫.৩ বল করে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। কম যাননি ইয়াসির শাহও। ৩৩ ওভার বল করে ৭৯ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। অর্থাৎ প্রোটিয়াদের ৯ উইকেটই হাতিয়ে নিলেন এ দুই স্পিনার।
তবে এ টেস্ট জয়ের নায়কদের অন্যতম ফাওয়াদ আলম। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছিলেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। পরে টেলএন্ডারদের চমৎকার ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থামে ৩৭৮ রানে। লিড পায় ১৫৮ রানের।