চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার রোধে ভারতে ৮০টি শহর করোনার কারণে লক ডাউন করা হয়েছে। তালিকায় আছে দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতার মতো ব্যাপক জনবহুল শহরগুলো। এর আগে করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নেয়া হয় একই পদক্ষেপ।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ছোঁয়াচে হওয়ায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে ঘরে অবরুদ্ধ করার পরিকল্পনা নেয় চীন।
এই উদ্দেশ্যেই ২৩শে জানুয়ারি উহানসহ প্রদেশের আরও ১৬টি শহরের ৫ কোটির বেশি বাসিন্দাকে লকডাউন করে দেয় চীন। তা কার্যকর করতে বসানো হয় সেনা চৌকি। লকডাউন চলে দেড় মাস ধরে। এই পদক্ষেপকে বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করেন খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীনের প্রতিনিধি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীনা প্রতিনিধি ড. গউডেন গ্যালিয়ে বলেন, এটি জনস্বাস্থ্যর ইতিহাসে প্রথম ঘটনা। এক কোটি দশ লাখ লোকের প্রবেশ ও বাহির পথ বন্ধ করে দেয়া মোটেও সহজ না।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীন বহু মানুষকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়েছে বলে মত দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনের পর ২১শে ফেব্রুয়ারি ছোট পরিসরে শুরু করে ধীরে ধীরে ১০ই মার্চে পুরো দেশ লকডাউন করে দেয় ইতালি। এতে অবরুদ্ধ আছেন প্রায় ৬ কোটি মানুষ। তবে খোলা রাখা হয়েছে খাদ্যপণ্য ও ওষুধের দোকান। নিয়ম না মানলে করা হচ্ছে জরিমানা।
১৫ই মার্চ থেকে ১৫ দিনের জন্য ৬ কোটি ৭০ লাখ বাসিন্দাকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্স। নির্দেশ না মানলেই করা হচ্ছে জরিমানা। একইভাবে স্পেন প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে লকডাউন করেছে।
জার্মানিতে পরিবারের সদস্য ছাড়া দুইজনের বেশি বাসিন্দার একসঙ্গে চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম ভাঙলে বড় অঙ্কের জরিমানা হবে বলেও নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জনগণকে জোর করে অবরুদ্ধ রাখার জন্য পুলিশ কাজ করে যাবে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনাও লকডাউন শুরু করেছে। অস্ট্রেলিয়া সব দোকানপাটের পাশাপাশি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন।