আন্তর্জাতিক ডেস্কঃদাবানলের মতো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডবে যেন ভেঙেচুরে যাচ্ছে পুরো পৃথিবী। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী প্রাণঘাতী এই ভাইরাসজনিত মহামারি থেকে মুক্তি পেতে মানবজাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে একটি সফল ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধকের। বিজ্ঞানীরা কবে সে সুখবর দেবেন, তার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই। এরই মধ্যে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া জানাল, বিজ্ঞানীরা এই মরণব্যাধি থেকে বাঁচার একটি সফল ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন।
নাইজেরিয়ার একদল বিজ্ঞানী করোনাজনিত কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সফল ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নাইজেরিয়ার কোভিড-১৯ বিষয়ক গবেষক দলের প্রধান ড. ওলাদিপো কোলাওল বলেন, ‘এ ধরনের বৈশ্বিক মহামারির সমাধান দিতে পারাটা আমাদের জন্য আবেগের।’ নাইজেরিয়ার এ গবেষকের দাবি, তার দলের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনটি এখন বাস্তবতা।
এ প্রসঙ্গে নাইজেরিয়ার এডা প্রদেশের অ্যাডিলেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গত শুক্রবার (১৯ জুন) ড. ওলাদিপো বলেন, ‘ভ্যাকসিনটি খাঁটি। আমরা বেশ কয়েকবার ভ্যাকসিনটি যাচাই করেছি। ভ্যাকসিনটি আফ্রিকানদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হলেও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর জন্যও এটি কাজ করবে। এটি ভুয়া হতে পারে না। ভ্যাকসিনটি দৃঢ়প্রত্যয়ের ফল। অনেক বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টায় ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রিনিটি ইমিউনোডিফিসিয়েন্ট ল্যাবরেটরি ও হেলিক্স বায়োজেন কনসাল্টের ২০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থায়নে এ ভ্যাকসিন গবেষণা প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল।
ড. ওলাদিপো কোলাওলে বলেন, সম্ভাব্য সর্বোত্তম ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটস বাছাইয়ের জন্য আফ্রিকাজুড়ে করোনা ভাইরাসের নমুনা থেকে জিনোম সংগ্রহ করেছে তার দল। এখনো ভ্যাকসিনটির কোনো নাম নির্ধারণ করা হয়নি।
ড. ওলাদিপো কোলাওলে আরও বলেন, ভ্যাকসিনটি ব্যাপক পরিসরে ব্যবহারের জন্য কমপক্ষে আরও ১৮ মাস সময় লাগবে। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষেধকটি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গবেষণা, বিশ্লেষণ ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।