চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। এই ভাইরাসের তাবা থেকে বাদ যায়নি সৌদি আরবও। এমন পরিস্থিতিতে করোনা আতঙ্কে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে জিদ্দায় নতুন ভবনে চলে গেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। এ ছাড়া যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও নিজ বাসভবন ছেড়ে চলে গেছেন দূরবর্তী এলাকায়।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, সৌদি রাজপরিবারের অন্তত দেড়শ সদস্য নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সম্প্রতি ইউরোপ ভ্রমণ করেছিলেন। এ ছাড়া রাজপরিবারের আরও বেশ কয়েকজনের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন রাজপরিবারের শীর্ষ সদস্য রিয়াদের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন বান্দর বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ।
তিনি এখন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ দুজন সদস্য এই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ৮৪ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান নিজের সুরক্ষায় রাজপরিবার ছেড়ে জেদ্দায় চলে গেছেন। লোহিত সাগর উপকূলীয় শহরটির কাছে একটি আইল্যান্ড প্যালেসে অবস্থান করছেন তিনি এখন।
৩৪ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও জেদ্দার এক প্রত্যন্ত এলাকায় চলে গিয়েছেন। যেখানে ইতিমধ্যে তিনি ‘নিওম’ নামে একটি ভবিষ্যত নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সৌদি সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও দূরবর্তী এলাকায় চলে গিয়েছেন বলে রাজপরিবার সূত্র জানায়।
এদিকে দেশজুড়ে ‘ভিআইপিদের’ জন্য প্রস্তুত থাকতে মঙ্গলবার রাতে শীর্ষ চিকিৎসকদের প্রতি একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়। সেই নির্দেশনার এক কপি পেয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। রাজপরিবারের চিকিৎসার তদারকিতে থাকা কিং ফয়সাল হাসপাতাল এই সতর্কতা পাঠিয়েছে দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের কাছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, আমরা জানি না কত আক্রান্ত রোগী আমরা পাব, কিন্তু আমাদের ‘সর্বোচ্চ প্রস্তুত’ থাকতে হবে। এ ছাড়া রাজপরিবারের কোনো কর্মী অসুস্থ হলে তাকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিতে হবে, কিং ফয়সাল হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে হবে শুধু রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য।
সূত্র জানায়, সন্দেহভাজন করোনায় আক্রান্ত রাজপরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত অভিজাত হাসপাতালটিতে অতিরিক্ত ৫০০টি শয্যা প্রস্তুত করতে ব্যস্ততম সময় পার করছেন চিকিৎসকেরা।
ইতিমধ্যে মক্কা, মদিনা, রিয়াদ, জেদ্দা শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির শুরুতে একে একে সব ধরনের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।