ভিটামিন ডি আপনার শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়? ভিটামিন ডি’র অভাবে আমরা অকালে এবং অনাহুত ডায়াবেটিস টাইপ-১, হৃদরোগ, হার-মজ্জার ক্ষয়রোগ এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারি। এছাড়া ভিটামিন ডি এর অভাবেই করোনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি।
ভিটামিন ‘ডি’ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলো থেকে। সূর্যের আলো পড়লে এর প্রভাবে ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করে। ফলে এটিই ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম প্রধান উৎস।
এত দিন পর্যন্ত সকালের হালকা রোদ থেকে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যেত তা দিয়েই আমরা সুস্থ থাকতাম। কিন্তু মহামারি করোনা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে, এই মরণ ভাইরাসকে রুখতে সবচেয়ে কার্যকর ভিটামিন ডি।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে গবেষকরা দাবি করেছেন, ভিটামিন ডি এর অভাবে করোনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি।
এই শীতে সকালে কুয়াশা থাকায় রোদের তাপ কম থাকে। তাই করোনা মোকাবিলায় দুপুরের ঠিক আগ মুহূর্তে সূর্য যখন আকাশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে থাকে, তখনই শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন করে।
সুস্থ থাকতে দৈনিক ১৫ মিনিট রোদে থাকা ভালো। দেহের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবে, তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে থাকার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে সানস্ক্রিন ছাড়া দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে থাকা উচিত নয়।
রোদ ছাড়াও কিছু খাবার থেকেও আমরা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। যার মধ্যে রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, ‘ই’ এবং ‘কে’ সমৃদ্ধ ডিমের কুসুম, মাশরুম ভিটামিন-ডি’র একটি আদর্শ উৎস। বিভিন্ন তরকারির মধ্যে মাশরুম ব্যবহার করলে তা যেমন স্বাদে উন্নত হয়, একই সঙ্গে তরকারির পুষ্টিগুণও বাড়ে। পনির একটি মজাদার খাবার। একই সঙ্গে পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ডি। কাঁচা পনিরে ভিটামিন-ডি’র পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। এছাড়া সব মাছেই ভিটামিন ডি থাকে। প্রতিদিনের খাবারে এসব আইটেমের যে কোনোটি রাখার চেষ্টা করুন।
আসুন এই শীতে করোনা ও অন্য রোগ থেকে সুস্থ থাকতে প্রতিদিনই রোদ গায়ে মেখে বিনামূল্যে প্রকৃতির দেওয়া ভিটামিন ডি গ্রহণ করি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।