আর্জেন্টিনার হয়ে সব থেকে বেশী ম্যাচ খেলেছনে লিওনেল মেসি! এই বৃহস্পতিবার ৩৪ বছর পূর্ণ করবেন মেসি। একজন ফুটবলারের জন্য এই বয়স তো কম নয়! ক্লাব মৌসুমের লম্বা ধকল, এরপর জাতীয় দলের হয়ে সব ম্যাচের প্রতিটি মিনিট মাঠে থাকা। ক্লান্তি-শ্রান্তি পেয়ে না বসার কারণ নেই। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে তাই মেসিকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলেন লিওনেল স্কালোনি। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের ভাবনায় অটল থাকতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ। তার সবচেয়ে বড় নির্ভরতাই যে মেসি! তবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিৎ হওয়ায় পরের ম্যাচে মেসিকে বিশ্রাম দিবেন আর্জেন্টাইন কোচ।
প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শেষ আটে পা রাখা নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচ দিয়েই আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে হাভিয়ের মাসচেরানোকে স্পর্শ করেন মেসি। দুজনেরই ম্যাচ এখন ১৪৭টি।
টুর্নামেন্টে নিজেদের আগের দুই ম্যাচের মতো এ দিনও পুরো ম্যাচ খেলেন মেসি। যথারীতি মাঠে দারুণ সক্রিয় ছিলেন তিনি। ম্যাচে তার চেয়ে বেশিবার বলে স্পর্শ করেন কেবল ডিফেন্ডার নাউয়েল মোলিনা। প্রথম ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ৬৬ বার বলে স্পর্শ ছিল মেসির, যা ছিল দলের সর্বোচ্চ। পরের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ছিল ৭৮ বার, এবার যৌথভাবে দলের সর্বোচ্চ রদ্রিগো দে পলের সঙ্গে।
সব মিলিয়ে মেসির শরীরের ওপর দিয়ে ধকল যাচ্ছে অনেক। দলের সেরা তারকাকে বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা তাই এসেছিল স্কালোনির। কিন্তু কেন পারেননি, সেই কারণ কোচ জানালেন ম্যাচ শেষে।
“ এটাই সত্যি যে মেসি সব ম্যাচে আমাদের হয়ে খেলেছে এবং সত্যি বলতে, তার ওপর নির্ভর না করাই কঠিন। ফুটবলারদের শারীরিক অবস্থা অবশ্যই আমার জন্য দুর্ভাবনার। খেলার মতো খুব ভালো অবস্থায় ছিল না ওরা।”
তবে শেষ আট নিশ্চিত হওয়ায় এখন একটু স্বস্তির অবকাশ পাচ্ছেন স্কালোনি। পরের ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে তাই বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা তার আছে।
“ পরের ম্যাচে ওদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে। কোয়ালিফাই করে ফেলাটা মানসিকভাবে স্বস্তি দিচ্ছে আমাদের। এখন আমরা আমাদের আরও তরতাজা করে তুলব ও ধারাল হয়ে উঠব।”